ঘড়ির কাঁটা রাত বারোটার ঘর ছুঁতেই বেজে উঠল সাইরেন। রাস্তায় নেমে উল্লাসে ফেটে পড়লেন মানুষ। এই প্রথম সাইরেন বাজিয়ে ইংরেজি নববর্ষকে স্বাগত জানাতে জানাল রাজ্য সরকার। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নবান্নে ঘোষণা করেছিলেন, ‘নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে এই প্রথম রাজ্য সরকারের এই উদ্যোগ। আগে বন্দর কর্তৃপক্ষ সাইরেন বাজাতেন। এবারেও তাঁদের অনুরোধ করা হয়েছে সাইরেন বাজানোর জন্য। এই প্রথম এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সব জায়গায় সাইরেন বাজানো সম্ভব হবে না। ভবিষ্যতে সব জায়গা থেকেই শোনা যাবে এই সাইরেন।’
সাইরেনের আওয়াজ শোনামাত্র নতুন বছরকে বরণ করে নিতে ফাটতে থাকে বাজি। আতশবাজির ঝলমলে আলোয় রঙিন হয়ে ওঠে বছরের শেষ ও নতুন বছরের প্রথম রাত। চলে হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটার, এসএমএসে শুভেচ্ছা বিনিময়। রাতভর অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন বছরকে স্বাগত জানাল শহর কলকাতা-সহ গোটা রাজ্য। নতুন বছরে জমাটি শীতকে সঙ্গী করেই মানুষের ঢল নামল নিকো পার্ক, ইকো পার্ক, সায়েন্স সিটি, চিড়িয়াখানা, অ্যাকোয়াটিকা, ভিক্টোরিয়ায়। সারা বছরের ক্লান্তি দূর করে উৎসবমুখর হয়ে উঠল গোটা রাজ্য।
এদিন বিকেল থেকেই সাজো সাজো রব ছিল কল্লোলিনীর বুকে। আর হবে নাই বা কেন, সব হারানোর বেদনা ভুলে নতুনকে যে স্বাগত জানাতে হবে। সেই মতো প্রস্তুতি নিয়েছিল তিলোত্তমাও। বিশেষত পার্কস্ট্রিট, ধর্মতলা চত্বর। ফুটপাথ থেকে রাজপথ সর্বত্র আলো আর আলো। এই আবহেই এক সেকেন্ডেই পুরনো হল ২০১৮। আর ওই এক সেকেন্ডেই নতুন হয়ে গেল ২০১৯।