জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির বিক্ষোভের জেরে ভাঙর সাবস্টেশনের কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় বৃহস্পতিবারই ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন আরও বেশি সংখ্যক কর্মী নিয়োগ ক’রে দ্রুত কাজ শেষ করতে হবে। তাঁর উদ্যোগেই অবশেষে জট কাটল ভাঙড়ে পাওয়ার সাবস্টেশন তৈরির কাজে।
গতকাল, শুক্রবার ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে আলোচনায় বসেন আন্দোলনকারীরা। ঠিক হয়েছে, গ্রামবাসীদের জন্য আরও অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করবে সরকার। সেই সঙ্গেই চলবে সাবস্টেশনের কাজ। পাশাপাশি ৩১ তারিখ দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসকের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথা আন্দোলনকারীদের। জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাও বলেন, ‘এলাকার কাজের গতিপ্রকৃতি নিয়ে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে বৈঠক করব।’
আন্দোলনের জেরে বহু দিন থমকে ছিল পাওয়ার গ্রিডের কাজ। ২০১৭ সাল থেকে শুরু হয়ে ২০১৮-র পঞ্চায়েত নির্বাচন পর্যন্ত চলে অচলাবস্থা। বহু সংঘর্ষ, রক্তপাতের ঘটনাও ঘটে। পরে প্রশাসনের থেকে সবরকমের সহযোগিতার আশ্বাস পেয়ে আন্দোলনকারীরা সুর নরম করে আলোচনার টেবিলে বসে। ঠিক হয়, পাওয়ার গ্রিডের বদলে ভাঙড়ে তৈরি হবে বিদ্যুতের সাবস্টেশন। আন্দোলনকারীরা শর্ত দেন, পাশাপাশি কিছু উন্নয়নের কাজও করতে হবে প্রশাসনকে।
এই শর্তেই শুরু হয় সাবস্টেশনের কাজ। কিন্তু গত বৃহস্পতিবার আবারও জমি জীবিকা বাস্তুতন্ত্র বাঁচাও কমিটির বিক্ষোভের জেরে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। এরপর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশ পেয়েই শুক্রবার বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত জমি কমিটির সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা হয় ভাঙড় ২ বিডিও কৌশিককুমার মাইতির। ছিলেন পিডিসিএল কর্তৃপক্ষ এবং পুলিশ কর্তারাও। ওই বৈঠকেই জট কাটে। জানা যায়, সাবস্টেশনের কাজ যেমন চলছে, সে ভাবেই চলবে।