মেট্রো রেলে আগুনের জেরে কমে গেল যাত্রী সংখ্যা। বৃহস্পতিবারের বিকেলের তুলনায় শুক্রবার বিকেলে মেট্রোর যাত্রীর সংখ্যা ১৩ হাজার কম বলে জানিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ।
মেট্রো রেলকে অগ্নি সুরক্ষা আইনে নোটিস দেওয়ার পাশাপাশি অগ্নিকাণ্ড নিয়ে মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজারের কাছে রিপোর্ট চেয়ে পাঠিয়েছে রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটি। কমিটির চেয়ারম্যান তৃণমূল সাংসদ সুদীপ ব্যানার্জি বলেন, ‘মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার জানিয়েছেন বিষয়টি নিয়ে তাঁরা তদন্ত করছেন। এটি মানুষের ভুলেও হতে পারে আবার প্রযুক্তিগত ত্রুটির ফলেও ঘটতে পারে। তাঁকে সোমবারের মধ্যে এ বিষয়ে রিপোর্ট দিতে বলেছি। রিপোর্ট নিয়ে আমি রেলওয়ে সেফটি কমিটির সঙ্গে কথা বলব। প্রয়োজনে মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজারকে ডেকে পাঠানো হবে।’ মেট্রোতে যাঁরা যাতায়াত করেন, তাঁরা এই ঘটনার ফলে আতঙ্কিত বলে জানিয়েছেন সুদীপ।
ঘটনার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষকেই দায়ী করেছেন কলকাতা পুরসভার ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় কী কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত, সে বিষয়ে মেট্রোকে দরকারি পরামর্শ দেবে দমকল। সেইসঙ্গে মেট্রোর তরফে তাদের ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল এবং ট্রাফিক বিভাগের ৩ আধিকারিককে নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গড়া হয়েছে। যারা ১০ দিনের মধ্যে গোটা ঘটনার পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দেবেন।
ঠিক কী ঘটেছিল সেদিন? ‘থার্ড রেল কারেন্ট কালেক্টর’ বা টিআরসিসি এমন একটি যন্ত্র, যেটি ট্রেনে আটকে থাকে৷ তৃতীয় লাইন থেকে বিদ্যুৎ এই যন্ত্রের মাধ্যমে কোচে পৌঁছয়৷ টিআরসিসি নিজের জায়গা থেকে সরে গিয়ে ঝুলে পড়েছিল লাইনে৷ তার জেরেই টিআরসিসি–তে ঘর্ষণের ফলে আগুন ধরে যায়৷
জানা গেছে, খারাপ হয়ে যাওয়া টিআরসিসি ইউনিট খুলে রাখা হয়েছে৷ ট্রেনটিকে সারাইয়ের কাজে পাঠানো হবে৷ ওই ট্রেনের টিআরসিসি কেন নিজের জায়গা থেকে ঝুলে গিয়েছিল, তা নিয়ে মেট্রোর অন্দরে প্রশ্ন উঠেছে৷ উচ্চ পর্যায়ে তদন্তের জন্য কমিটি তদন্ত করে দেখবে, রেকগুলির যথাযথ পরিচর্যা হয় কিনা৷ সেখানে রেকের সমস্যা ছাড়াও রেললাইনের কোনও সমস্যা থাকতে পারে। গোটা বিষয়টিই খতিয়ে দেখা হবে জানিয়েছেন মেট্রো রেল কর্তৃপক্ষ। এদিন মেট্রো কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, নতুন রেকগুলি খুব তাড়াতাড়ি চালু করা হবে।