শহরে অ্যাপ ক্যাব নিয়ে অসন্তোষ বহুদিনের। ঘনিয়েছিল চাপা বিক্ষোভও। সবকটি সংগঠনের আলাদা আলাদা দাবি-দাওয়া থাকায় বারবার আলোচনাতেও বেরোয়নি কোনও রফাসূত্র। অবশেষে সরকার মধ্যস্থতা করতে এগিয়ে আসে। আজ বৃহস্পতিবার ছিল পরিবহণ দফতরের সঙ্গে তাঁদের বৈঠক। কিন্তু একটি সংগঠনের মালিকেরা বৈঠকে না আসায়, এ দিনও ভেস্তে যায় বৈঠক। ফলে আজও অ্যাপ ক্যাব নিয়ে জট না কাটায় ক্ষেপে ওঠেন ক্যাব চালকেরা।
এরপরই ক্ষোভে উন্মত্ত হয়ে বাইপাসে নেমে পড়েন তাঁরা। রুবি মোড়ে শুরু হয়ে যায় তুমুল উত্তেজনা৷ আন্দোলনকারী চালকরা থামিয়ে দেন রাস্তায় নামা অ্যাপ ক্যাবগুলি। এমনকি গাড়ির ভিতর থেকে টেনে-হিঁচড়ে নামানো হয় ক্যাবের যাত্রীদেরও। শুরু হয় পাথরবৃষ্টি। যার ফলে মুহূর্তেই আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয় বাইপাস সংলগ্ন অঞ্চলে।
প্রসঙ্গত, ২৫ ডিসেম্বর থেকেই অ্যাপ ক্যাবের মালিক ও চালকদের ওয়েস্ট বেঙ্গল অনলাইন ক্যাব অপারের্টস গিল্ড তিন দিনের ধর্মঘট ডেকেছিল। অ্যাপ ক্যাব সংস্থাগুলির দুর্ব্যবহারের প্রতিবাদেই এই সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছিলেন ধর্মঘটকারীরা। তাঁদের অভিযোগ, সংস্থা থেকে অনেক চালকের আইডি ব্লক করে দেওয়া হয়।
নববর্ষের দিন যাতে পরিষেবা সচল রাখা যায়, তাই চালক ও মালিকেরা ওই অফিসে টাকা জমা দিয়ে আইডি খোলাতে গেছিলেন। কিন্তু সংস্থার তরফে কোনও রকম কথাই বলা হয়নি। এর পরেই সংগঠনের প্রতিনিধি দল ঘোষণা করে তিন দিন প্রায় ১০ হাজার অ্যাপ ক্যাব চলবে না কলকাতায়।
জানা গেছে, আজ সরকারের মধ্যস্থতায় যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল পরিবহণ ভবনে, সেখানে অ্যাপ ক্যাব ইউনিয়নের প্রতিনিধিদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন চালকরাও। তবে বৈঠকে কোনও প্রতিনিধিই পাঠায়নি উবের। আবার ওলার প্রতিনিধি থাকলেও ক্যাবচালকদের শর্ত মানতে নারাজ হয় তারা৷ এই কারণেই ভেস্তে যায় আলোচনা। বেরোয়নি কোনও সমাধান সূত্রও।
এরপরেই রাস্তায় নামেন ক্ষুব্ধ চালকরা। তাঁদের দাবি, দিনের পর দিন কম টাকায় কাজ করানো হচ্ছে তাঁদের দিয়ে। অভাবের ফলে গাড়ির কিস্তি মেটাতে পারছেন না তাঁরা। বারবার বলেও কোনও কাজ হয়নি। তাই অবশেষে আর উপায় না দেখে পথে নেমেছেন তাঁরা।