তিনি বাংলার জনপ্রিয় কবিদের মধ্যে অন্যতম। তিনি বাংলা ভাষায় কবিতা লিখে পেয়েছেন সাহিত্য অ্যাকাডেমি পুরস্কার। আবার বাংলা ভাষায় সাহিত্য অ্যাকাডেমির আহ্বায়কও তিনিই। একইসঙ্গে রাজ্যের বুদ্ধিজীবী মহলেও যথেষ্ট নামডাক তাঁর। কিন্তু সেই তাঁকেই কিনা এবার কুৎসিত ভাবে আক্রমণ করা হল সোশ্যাল মিডিয়ায়। যা নিয়ে খুবই মর্মাহত কবি।
ঘটনার মূলে একটা ছবি। সেই ছবিতে দেখা যাচ্ছে শহরের এক ব্যস্ত রাস্তায় জুতো পালিশওয়ালার কাছে জুতো পালিশ করাচ্ছেন সুবোধ বাবু। এই ছবি সমেত ছাপার অযোগ্য ভাষায় তাঁকে গালিগালাজ করে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন মৃণ্ময় ভৌমিক নামের এক ব্যক্তি। তবে এখানেই শেষ নয়। ওই পোস্টে কবির বিরুদ্ধে নানা কটূ মন্তব্য করা হয়। তাঁর জুতো পালিশের মুহূর্তটি নিয়ে রীতিমতো খাপ-পঞ্চায়েত বসিয়ে ফেলেন বড় বড় ‘ফেসবুক বিপ্লবী’রা।
পুলিশ সূত্রে খবর, প্রশাসনের সর্বোচ্চ পর্যায়ে বিষয়টি জানিয়েছিলেন সুবোধ বাবু। সেখান থেকেই সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ জানানোর পরামর্শ দেওয়া হয় কবিকে। এ দিন তাঁর হয়ে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের সহ-সভাপতি মণিশঙ্কর মণ্ডল লালবাজার সাইবার ক্রাইম শাখায় অভিযোগ দায়ের করেছেন। এর আগে তাঁর অন্যতম প্রিয় কবি সুবোধ সরকারের কবিতা নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণাও করেছেন মণিশংকর। তাই কবির এমন হেনস্থা দেখে চুপ থাকতে পারেননি তিনি।
মণিশংকর বলেন, ‘বাংলার সম্প্রীতি রক্ষায় বরাবরই উদ্যোগী সুবোধ সরকার। সেই কারণেই চরম হিন্দুত্ববাদীরা বারবার আক্রমণ করেছে তাঁকে। মৃণ্ময় ভৌমিকের এই কুৎসিত আক্রমণ তারই অংশ।’ অভিযোগপত্রেও স্পষ্ট জানানো হয়েছে, সুবোধ সরকার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়িয়ে সব সময়েই সাম্প্রদায়িক দলগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করছেন। সেই কবির গায়ে কালি ছেটানোর চেষ্টা করছে কিছু সাম্প্রদায়িক দল।
ঘনিষ্ঠ মহলে কবি জানিয়েছেন, আমি গণতন্ত্রে বিশ্বাসী। কিন্তু কুৎসা এবং অপপ্রচারের একটা সীমা আছে। এবার তা আমার সহ্যের সীমা ছাড়িয়েছে। তাই আমার সামাজিক সম্মান নিয়ে যদি কেউ কুৎসা রটায়, আমি আইনের দ্বারস্থই হব। আইন আইনের পথে চলবে।