১ জানুয়ারি তৃণমূলের প্রতিষ্ঠা দিবস। নতুন বছরের প্রথম দিন থেকেই জোরকদমে শুরু হয়ে যাবে ব্রিগেড সমাবেশের প্রচার কাজ। ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত লাগাতার চলবে প্রচার। ১৯ জানুয়ারি হবে ব্রিগেড সমাবেশ।
প্রতিষ্ঠা দিবস উপলক্ষ্যে ১ জানুয়ারি প্রথমে কালীঘাটে নেত্রীর বাড়িতে দলীয় পতাকা তোলা হবে। এরপর তৃণমূল ভবনে পতাকা তুলবেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী। যেসব জায়গায় অনুষ্ঠান হবে সেখানে মনিষীদের ছবি রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দলের প্রতিষ্ঠা দিবসে তৃণমূলের পক্ষ থেকে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, রক্তদান শিবির, বসে আঁকো প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে। জানা গেছে, এর ফাঁকে ফাঁকেই চলবে ব্রিগেডের প্রচার।
বিজেপি বিরোধী জোট এককাট্টা করতে সক্রিয় ভূমিকা নিয়েছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিল্লীতে গিয়ে ২২ টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। ছকে দিয়েছেন রূপরেখা। সেই অনুযায়ী চলছে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই। সমস্ত দলই মেনে নিয়েছে মমতার নেতৃত্ব। চন্দ্রবাবু নায়ডু, ফারুক আবদুল্লা, কেসি আর-এর মতো নেতারা নবান্নে এসে মমতার সঙ্গে বৈঠক করেছেন। চলেছে জোটের মালা গাঁথার কাজ।
ইতিমধ্যেই গোটা বাংলা জুড়ে মুখ্যমন্ত্রীর ছবি দিয়ে ‘ব্রিগেড চলো’ লেখা বড় বড় হোর্ডিং-পোস্টার দেওয়া হয়েছে। দলের নির্দেশে চলছে দেওয়াল লিখনের কাজ। নেতারা বুথে বুথে ব্রিগেডের প্রচার সভা করছেন। কালিয়াগঞ্জে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ব্রিগেডের প্রচার সভা করতে গিয়ে বলেন, ‘৪২-এ ৪২ টি আসনই আমরা নেত্রীর হাতে তুলে দেব’। প্রচার মঞ্চ থেকে ভেদাভেদের রাজনীতি নিয়ে আক্রমণ করা হচ্ছে বিজেপিকে। গত ৪ বছর ধরে মোদী সরকার যেসব জনবিরোধী নীতি নিয়েছে, তা তুলে ধরা হচ্ছে প্রচারে।
মনে করা হচ্ছে, ১৯ জানুয়ারির ব্রিগেডের মঞ্চ থেকেই বিজেপি হটাওয়ের নতুন স্লোগান দেবেন মমতা। আর সেটা তিনি করতে চাইছেন বিরোধী ঐক্যের নিশান উড়িয়ে। তাই জাতীয় স্তরে মোদী বিরোধিতার কোনও দ্বিধা না রেখে ছোট বড় সব দলকেই ব্রিগেডের মঞ্চে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মমতা। বাদ যায়নি সিপিএমও। সোনিয়া গান্ধী এবং রাহুল গান্ধীকেও আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। ইতিমধ্যে বেশ কিছু দল আমন্ত্রণ স্বীকার করে ব্রিগেডে উপস্থিত থাকবেন জানিয়েও দিয়েছেন। সব মিলিয়ে জোরকদমে চলছে বিজেপি বিরোধী জোটের মালা গাঁথার কাজ। আর ব্রিগেড সমাবেশ থেকে শুরু হয়ে যাবে বিজেপির বিরুদ্ধে প্রচারের কাজও।
২০১৯ বিজেপি ফিনিশ – এই স্লোগান আগেই দিয়েছেন মমতা। এবার ২০১৯ পরবর্তী লালকেল্লায় যাতে নরেন্দ্র মোদী আর ভাষণ দিতে না পারেন সেই লক্ষ্যেই শুরু হয়েছে ব্রিগেডের প্রচার কাজ। ব্রিগেডের সমাবেশ থেকেই মমতা সমস্ত বিরোধী শীর্ষ নেতাদের নিয়ে মোদীকে সিংহাসনচ্যুত করার ডাক দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।