গ্রাহকদের সামনেই ঢেকিতে ছেঁটে চাল তৈরি করে তা থেকে সেখানেই পিঠে বানিয়ে দেওয়া হচ্ছে। হাল ফ্যাশনের কর্পোরেট গিফটের আইটেম, বাঁকুড়ার ডোকরার সামগ্রী, বাংলার ঐতিহ্য সমৃদ্ধ রকমারি শাড়ি। সব মিলিয়ে জমজমাট পূর্ব কলকাতার কাঁকুড়গাছির সবলা মেলা। ক্রেতা-বিক্রেতা উভয়ের মুখেই চওড়া হাসি।
পিছিয়ে পড়া এবং দারিদ্র সীমার নীচে বসবাসকারী মহিলাদের স্বনির্ভর করার বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই লক্ষ্যেই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দফতরের উদ্যোগে ২৫ ডিসেম্বর থেকে কাঁকুড়গাছিতেও বসেছে এই সবলা মেলা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সাধন পাণ্ডেরা। মেলায় আছে ৩০০-এর বেশী স্টল। সেখানে মিলছে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের হাতে তৈরি বিভিন্ন কারু শিল্পের নজরকাড়া কাজ। ঘর সাজানোর রকমারি জিনিস। বসেছে বালুচরি, জামদানি, জারদৌসির মতো মনভোলানো শাড়ির পসরা। টেরাকোটার পুতুল, মুখোশ মেলার আকর্ষণ বাড়িয়েছে।
মেলায় প্রতিদিনই থাকছে নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। প্রাঙ্গণের মঞ্চে সঙ্গীতশিল্পীদের গাওয়া গান উৎসবের আবহ তৈরি করেছে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপভোক্তা বিষয়ক দপ্তর এবং স্বনির্ভর গোষ্ঠী ও স্বনিযুক্তি দপ্তরের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, ‘বিরোধীরা যতই মেলা এবং উৎসবের বিরোধিতা করুক না কেন, এই উৎসব এবং মেলার মাধ্যমে প্রচুর মানুষের রোজগার হয়। প্রচুর মানুষের এই ঢল প্রমান করছে, সাধারণ মানুষ মেলা-উৎসব পছন্দ করেন। মেলা এবং উৎসবের বিরোধিতা করা মানে মানুষের কর্মসংস্থানের বিরোধিতা করা’। কাঁকুড়গাছির এই সবলা মেলা চলবে ১ জানিয়ারি পর্যন্ত।