ব্যক্তিগত কম্পিউটারের পর এবার হোয়াটসঅ্যাপ, ফেসবুক, টুইটারের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মেও নজরদারি চালাতে চলেছে কেন্দ্র। এই ব্জন্য আইটি আইনের ৭৯ ধারাকে সংশোধন করে তা লাগু করা হবে, যাতে বেআইনি তথ্য সম্বলিত প্রচার আটকানো যায়। অনলাইনে কে কী বার্তা পাঠাচ্ছে, তার ওপরে নিয়ন্ত্রণ করার কথা বলা আছে ওই ধারায়।
সংসদের বাদল অধিবেশনে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশংকর প্রসাদ জানিয়েছিলেন, তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৭৯ ধারায় পরিবর্তন করা হবে। সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা আপত্তিকর খবর ছড়ানো হচ্ছে। তার ফলে হিংসা বাড়ছে। সোশ্যাল মিডিয়াকে তার দায় নিতে হবে। তাদের দেখতে হবে যাতে কেউ গুজব ছড়াতে না পারে।
সরকারি একটি সূত্রের খবর, আইফোন সহ-অ্যান্ড্রয়েড ফোনগুলিতে চলবে নজরদারি। সেখানের মেসেজ, চ্যাট, ইমেজ, ভিডিওতে নজরদারি চালানো হবে। সেক্ষেত্রেও ব্যক্তিগত গোপনীয়তায় হাত পড়বে বলে মনে করা হচ্ছে।
দু’দিন আগেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে বিতর্কিত নির্দেশিকা জারি করে বলা হয়েছিল দেশের ১০টি কেন্দ্রীয় সংস্থা নজরদারি চালাবে ব্যক্তিগত কম্পিউটার থেকে ফোনে। অর্থাৎ সেখানে আড়িপাতার বিষয়টি উঠে আসায় শোরগোল পড়ে যায় দেশজুড়ে। এবার হোয়াটসঅ্যাপে নজরদারি চালানোর তুঘলকি সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ইতিমধ্যেই জোর চর্চা শুরু হয়েছে সারা দেশ জুড়ে।