কথায় আর চিঁড়ে ভিজবে না। বিজেপি এবার রাম মন্দিরের নির্মাণ কাজ শুরু না ক’রে লোকসভা নির্বাচনে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিলে প্রবল আপত্তি জানাবে রামজন্মভূমি মন্দির কমিটি। একথা সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে মন্দির কমিটির পক্ষ থেকে। শীর্ষ আদালতের সঙ্গে সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও আর সময় দিতে চায় না তারা।
রবিবার রামজন্মভূমি মন্দির নির্মাণ কমিটির রাষ্ট্রীয় সম্পাদক স্বামী জিতেন্দ্রনন্দ সরস্বতী মোদীর উদ্দেশ্যে বলেন, ‘প্রতিশ্রুতি মতো ২০১৯-এর মধ্যে রামমন্দির তৈরি করতে না পারলে ভোটে লড়াই করার কোন দরকার নেই। রামমন্দির তৈরির প্রয়োজনীয়তা নিয়ে যদি প্রশ্ন থাকে, তা হলে আমাদেরও প্রশ্ন নির্বাচনের কী দরকার?’ তাঁর হুঁশিয়ারি, ‘রাম মন্দির নির্মাণ না ক’রে নির্বাচন হবে না। এটা দেশের অখণ্ডতার, স্বাভিমানের প্রশ্ন।’
বিশ্বহিন্দু পরিষদের উদ্যোগে বিশ্বশান্তি যজ্ঞ ও হিন্দু সম্মেলনে যোগ দিতে রবিবার মালদহে আসেন রামজন্মভূমি মন্দির নির্মাণ কমিটির রাষ্ট্রীয় সাধারণ সম্পাদক। অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদেরও কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে জিতেন্দ্রনন্দ বলেন, ‘বাবরি মসজিদ ভাঙা বা রামমন্দিরের শিলান্যাস যেমন বিচারপতিদের বলে করা হয়নি, তেমনই মন্দির নির্মাণের সময়ও আমরা বিচারপতিদের বলা না বলার অপেক্ষা রাখব না। তবে জজ সাহেবদের সম্মান বাঁচানোর সুযোগ দেওয়া হচ্ছে, যাতে তাঁরা ঠিক ফয়সালা শুনিয়ে দেন।’
মালদহের ওই সন্মেলনে মূল বক্তা ছিলেন জিতেন্দ্রনন্দই। তিনি রামমন্দির নির্মাণ কমিটি ছাড়া গঙ্গা মহাসভারও অখিল ভারতীয় সম্পাদক। রামচন্দ্রের অস্তিত্ব প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘আদালত এই নিয়ে প্রশ্ন তুললে, আগে উত্তর দিতে হবে রামনবমী, দশেরাতে ছুটি ভোগ করেন কেন?’ হিন্দুদের জন্য আলাদা আদালতের পক্ষে সওয়াল করে তিনি বলেন, ‘মুসলিম পার্সোনাল বোর্ড যদি দেশের সব জেলায় শরিয়ত আদালত করার দাবি তুলতে পারে, তাহলে আমরাও কেশরীয় আদালতের দাবি তুলছি।’
মুসলিম পার্সোনাল ল-বোর্ডের হয়ে কপিল সিবাল সুপ্রিম কোর্টে সওয়ালে বলেছিলেন, যেহেতু বিজেপির নির্বাচনী অ্যাজেন্ডায় ২০১৯-এর মধ্যে রামমন্দির নির্মাণ রয়েছে, তাই বিতর্ক এড়াতে আদালত ওই মামলার রায় ২০১৯-এর পরে দিক। সেই প্রসঙ্গে রামমন্দির নির্মাণ কমিটির এই শীর্ষ নেতার বক্তব্য, ‘কপিল সিবালের জানা উচিত বিজেপির ওই অ্যাজেন্ডা নতুন নয়। ১৯৭৯ থেকে চলছে। মন্দির ২০১৯য়ে হবে, না ২০২৪য়ে তা জানি না। কিন্তু কাজ শুরু করতে হবে ২০১৯য়েই।’