ড্রোনের দিন শেষ। এবারে গঙ্গাসাগর মেলায় কড়া নজরদারি চালাতে স্কাই সার্ভিল্যান্স তৈরি করেছে রাজ্য। গঙ্গাসাগরে এম্পন আধুনিক প্রযুক্তির নিরাপত্তা ব্যবস্থা এই প্রথম। যা তীর্থযাত্রীদের অনেক বেশি নিরাপত্তা দেবে।
গত কয়েক বছর যাবৎ সাগর মেলার তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ব্যবহার করা হত ড্রোন ক্যামেরা। তবে এবার সেই ড্রোনের জায়গায় স্থান পেয়েছে ‘প্যান কিল জুম’ নামের এক ক্যামেরা। এই প্যান কিল জুম হল একটি বেলুন নির্ভর ক্যামেরা। পুলিশ সূত্রে খবর, এই বেলুন ক্যামেরার সাহায্যে একেবারে নিখুঁত ছবি তোলা সম্ভব হবে মেলা প্রাঙ্গণ ও আশেপাশের এলাকায়।
আসলে ড্রোন নির্ভর ক্যামেরা ব্যবহার করায় কিছু সমস্যা আছে। কিছুক্ষণ চলার পর ড্রোনের ব্যাটারির চার্জ শেষ হয়ে যায়। ফলে ক্যামেরাও বন্ধ হয়ে যায়। তাই ৩০ মিনিট পর পরই ব্যাটারি চার্জ দিতে হয়। শুধু তাই নয়, নির্দিষ্ট উচ্চতায় ওঠার পর ড্রোন একদম থেমে যায়। ফলে তখন তা নামানাের ক্ষেত্রেও অসুবিধা তৈরি হয়। তবে এই ক্ষেত্রে বেলুন ক্যামেরা অনেক বেশি কার্যকরী।
প্রশাসন সূত্রে খবর, প্রতিটি ক্যামেরা-সহ বেলুনের দাম প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। প্রতিটা বেলুন ক্যামেরায় থাকবে চারটি করে বেলুন। ৭০ ফুট উচ্চতা থেকে এই ক্যামেরাগুলি নজর রাখতে পারবে। সুবিধা মতাে তিন কিলোমিটার দূরে মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে পুরো বেলুন-সহ ক্যামেরা ঘোরানো সম্ভব হবে।
জানা গেছে, এ বছর মেলা প্রাঙ্গণকে আগের বারের থেকে অনেক বেশি প্রযুক্তি নির্ভর করে গড়ে তোলা হচ্ছে। তার জন্য তৈরি করা হয়েছে মেগা কন্ট্রোল রুম। যে রুম থেকে শুধু মেলা প্রাঙ্গণ নয়, কচুবেড়িয়া, চেমাগুড়ি থেকে শুরু করে বেনুবন পয়েন্ট পর্যন্ত সবটাই থাকবে সিসিটিভির নজরে। একইসঙ্গে বানানো হচ্ছে অস্থায়ী আবহাওয়া অফিসও। যেখান থেকে গঙ্গাসাগর এলাকার আবহাওয়ার উপর নজর রাখা হবে। প্রতি ঘন্টায় ঘন্টায় দেওয়া হবে আবহাওয়ার আপডেট।
এর পাশাপাশি, প্রতিটি ট্রান্সিট পয়েন্টে থাকছে ওয়াই-ফাই পরিষেবাও। যাতে আধিকারিকদের সার্ভেলিয়েন্স ক্যামেরার মাধ্যমে প্রাপ্ত ফুটেজ সবসময় পেতে কোনও অসুবিধা না হয়।