ডার্বিতে ঝাঁপিয়ে পড়ার জন্য সতীর্থদের উদ্বুদ্ধ করছেন তিনি। কিন্তু, তাঁর খেলা নিয়েই অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। সনি’ও যে ডার্বিতে বাড়তি কিছু করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন। চলতি মরসুমে তার ছন্দ দেখেই বোঝা যাচ্ছিল। রবিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ডার্বিতে সম্ভবত মাঠের বাইরে থাকতে হচ্ছে সনি নর্ডিকে।
এমআরআই করিয়ে বেশ কিছুক্ষণ পরে অনুশীলনে যোগ দিয়েছিলেন সনি। শুক্রবার তাঁর এমআরআই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে ক্লাব।চোট পাওয়া উরুর পেশির এমআরআই রিপোর্ট দুঃসংবাদ বয়ে নিয়ে এসেছে বলে জানা গেছে। পেশিতে হাল্কা টিয়ার রয়েছে। যা জোর করে খেললে বড় চোটের পথ প্রশস্ত করবে। তারপর অনুশীলনে এলেও মাঠে নামেননি সনি। চোট যাতে না বেড়ে যায় সেজন্য বিশ্রাম নেন। তা সত্ত্বেও বলা যাচ্ছে না হাইতিয়ান ফুটবলার খেলবেন। মনে করা হচ্ছে, অল্প সময়ের জন্য তিনি নামবেন। কিন্তু সেই নামা বড় ধাক্কা বয়ে আনতে পারে বলে আশঙ্কা মোহনবাগান শিবিরে।
কোচ শংকরলাল চক্রবর্তী শেষবারের জন্য চোটের অবস্থা নিয়ে সনি নর্ডির সঙ্গে কথা বলবেন। তবে হাইতিয়ান ফুটবলারকে ছাড়াই দল সাজাতে শুরু করেছেন। চোট পাওয়া ওমর অনুশীলনে ফিরে এসেছেন। যা সবুজ মেরুন কোচকে আশ্বস্ত করেছে।
আট ম্যাচে নয় পয়েন্ট নিয়ে লিগ টেবিলে ভালো জায়গায় নেই মোহনবাগান। ডার্বিতে তাই কোনওভাবেই হারতে নারাজ কোচ। সেজন্য দ্রুত গতির প্রতি আক্রমণে বাজিমাতের ভাবনাচিন্তা করছেন। তাই সনি নর্ডি নির্ভরতা ছেড়ে মোহনবাগানকে কীভাবে লড়াইয়ে রাখা যায় সেটাই শংকরলালের চ্যালেঞ্জ। গত আই লিগে সনি নর্ডিকে ছাড়াই ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়েছিল মোহনবাগান। ডিপান্ডা ডিকার দুরন্ত গোলে বাজিমাত করার পরে বাগান কোচ বলেছিলেন, অলক্ষ্যে একটা দল গড়ে উঠেছে যার প্রকাশ দেখা গেল যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে। ফের সেই অলক্ষ্যে গড়ে ওঠা দলের আশায় শংকরলাল।