ঘটনাচক্রে এক বছর আগে ঠিক এই তারিখেই কংগ্রেস সভাপতি পদে রাহুল গাঁধীর অপ্রতিদ্বন্দ্বী নির্বাচনের কথা ঘোষিত হয়েছিল। তারপর থেকে সময়টা ভালো যায়নি তাঁর। কিন্তু এক বছরের মাথায় সেই রাহুলই ঘুরে দাঁড়ালেন। পাঁচ রাজ্যে বিধানসভা ভোটে বড়সড় ধাক্কা দিলেন বিজেপিকে। আজ ভোট গণনা শুরু হতেই ছত্তীসগড়, রাজস্থান, তেলঙ্গানা হাতছাড়া হয়ে যায় বিজেপির। এরপর ধীরে ধীরে যতই ভোট গণনা চলতে থাকে, ততই চড়তে থাকে পারদ৷ একে একে জয়ের দিকে এগিয়ে চলে কংগ্রেস৷ যদিও কংগ্রেসের কাছ থেকে হাতছাড়া হয়েছে মিজোরাম। তবে শেষ হাসিটা হেসেছেন রাহুল গান্ধীই।
পাঁচ রাজ্যের এই বিধানসভা নির্বাচন ছিল ২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনের আগে সবচেয়ে বড় ভোটযুদ্ধ। ‘দিল্লি দখলের সেমিফাইনাল’ হিসেবেই এই লড়াইকে ব্যাখ্যা করছিল রাজনৈতিক শিবির। উনিশের ভোটের আগে এই ফলাফলের মাধ্যমে রাহুল গান্ধী যে নরেন্দ্র মোদীকে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলে দিলেন, সে ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই।
ভোটের এই ফলে কংগ্রেস সভাপতির শরীরী ভাষাটাই বদলে গেছে। সন্ধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করতে রাহুল ঢুকলেন সাদা পাজামা-পাঞ্জাবীর ওপর কালো জ্যাকেট চাপিয়ে। মুখে চওড়া হাসি। অনেক বেশি প্রত্যয়ী, অনেক চাপমুক্ত, কথাবার্তায় অনেক বেশি সুবিন্যস্ত। জয়ের প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে রাহুল প্রথমেই ধন্যবাদ জানান কংগ্রেস কর্মীদের।
নির্বাচনের আগে প্রচারে গিয়ে কৃষকদের ঋণ মুকুবের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, কংগ্রেস ক্ষমতায় এলে কৃষিঋণ মকুব করে দেওয়া হবে। আজকের সাংবাদিক সম্মেলনেও সেই প্রসঙ্গ টেনে বললেন, ‘নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি মতোই মধ্যপ্রদেশে কৃষিঋণ মুকুব করা হবে।’ সংযত ভঙ্গীতে বিজেপিকে আক্রমণ করে বলেন, ‘এক বিশেষ ধরনের চিন্তাধারা নিয়ে চলে বিজেপি। সেই চিন্তাধারার বিরুদ্ধে লড়ে আমরা আজ বিজেপিকে হারিয়েছি। ২০১৯ লোকসভা ভোটেও হারাব।’ তাঁর কথায়, মধ্যপ্রদেশ, রাজস্থান ও ছত্তীসগড়ে অনেক কিছু করার রয়েছে৷ মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন নিয়েও যে কোনও জটিলতা তৈরি হবে না, তাও এদিন স্পষ্ট করে দেন রাহুল৷