বাংলায় বিরোধী শিবিরে ভাঙন অব্যাহত। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে গোটা রাজ্যজুড়ে চলা বিশাল উন্নয়নের কর্মযজ্ঞে যোগ দিতে প্রতিনিয়তই বিজেপি-সিপিএম থেকে বহু কর্মী-সমর্থক তৃণমূলে নাম লেখাচ্ছেন। এবার আবারও বিজেপি এবং সিপিএম ছেড়ে প্রায় ৫০০ কর্মী-সমর্থক যােগ দিলেন তৃণমূলে। মঙ্গলবার সকালে আরামবাগ বিবেকানন্দ মােড়ে তাঁদের হাতে পতাকা তুলে দেন তৃণমূলের আরামবাগ ব্লক সভাপতি স্বপন নন্দী। তিনি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আইএনটিটিইউসি নেতা শেখ খোকন।
৫ রাজ্যে বিজেপির ভরাডুবির খবর আসার আগেই সিপিএম এবং বিজেপির এই কর্মীরা তৃণমূলে যােগ দেন। এ বিষয়ে স্বপনবাবু বলেন, ‘ওঁদের ভুল বুঝিয়ে এতদিন সিপিএম এবং বিজেপি করতে বাধ্য করা হয়েছিল। কিন্তু বাংলায় সিপিএম এখন বিলুপ্তপ্রায়। বিজেপিও যেসব প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, তা যে ডাহা মিথ্যে এবং ফাঁকা আওয়াজ সে কথা এখন পরিষ্কার হয়ে গেছে। তাই ওঁরা নিজেদের ভুল বুঝতে পেরে তৃণমলে যোগ দিয়েছেন। এঁদের মধ্যে যেমন রয়েছেন রাজমিস্ত্রি, শ্রমিক, তেমনি অন্যান্য পেশার মানুষও রয়েছেন।’
অন্যদিকে, তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর বিজেপি থেকে আসা লালন পােড়েল বলেন, ‘বিজেপি অনেক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু তারা সেই প্রতিশ্রুতি পালনে ব্যর্থ হয়েছে। তাই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়ে দিদির নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়নে শামিল হতে চাই।’ আবার সিপিএম থেকে আসা শামসুদ্দিন খান বলেন, ‘সিপিএমের আর কিছুই নেই। বিজেপিও গােটা দেশকে শেষ করে দিচ্ছে। ওরা প্রত্যেকের অ্যাকাউন্টে টাকা দেওয়ার কথা ঘােষণা করেছিল, তা যে ডাহা মিথ্যে, মানুষ তা বুঝতে পেরেছে। কিন্তু তৃণমূলের পক্ষ থেকে বাড়ি করে দেওয়া হয়েছে। তৃণমূল শুধু মুখে কথা বলে না, কাজেও করে দেখায়। তাই আমরা তৃণমূলে যোগ দিয়েছি।’
গোটা বাংলা জুড়েই যে গতিতে বিজেপি ও সিপিএম নেতা-কর্মীরা দলত্যাগ করে তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন, তাতে স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে যে শীঘ্রই ফাঁকা হতে চলেছে রাজ্যের পদ্মদীঘি। আর লালদূর্গ তো এখন প্রায় ধ্বংসাবশেষেই পরিণত হয়েছে। অন্যদিকে, বিরোধী শিবিরের এই অব্যাহত ভাঙনের ফলে তরান্বিত হচ্ছে রাজ্যের উন্নয়নের ধারা।