৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে হাওয়া যে উল্টো দিকে বইছে তা হাড়ে হাড়ে টের পাচ্ছেন মোদী-শাহরা। ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলির নীতি নির্ধারণের কাজও চলছে পূর্ণ উদ্যমে। ঠিক এই পরিস্থিতিতে লোকসভা ভোটের রোড ম্যাপ প্রস্তুত করে বিরোধী জোটকে এককাট্টা করতে আজ রবিবার সন্ধ্যার বিমানে দিল্লী যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আগামী কাল সোমবার বিরোধী দলগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তিনি।
এই মুহূর্তে মমতাকে ঘিরেই দেশজুড়ে আবর্তিত হচ্ছে বিজেপি বিরোধী জোট। একহাতে উন্নয়ন, অন্যহাতে ধর্মনিরপেক্ষতা অক্ষুণ্ণ রাখতে বদ্ধপরিকর মমতাই এখন এই জোটের মধ্যমণি। তাই চাপে গেরুয়া শিবিরও। তার ওপর নোটবন্দী থেকে রাফাল, সিবিআইয়ে গ্যাঙ ওয়ার থেকে কালো টাকা – দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী হাওয়া ভীষনভাবে প্রকট। তাই লোহা গরম থাকতেই মোক্ষম আঘাত হানতে চাইছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
জাতীয় রাজনীতিতে বরাবরই নির্ণায়ক শক্তির ভূমিকা নিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তৃণমূল। তাই লোকসভা নির্বাচনের আগে বিরোধী দলগুলির সঙ্গে মমতার এই বৈঠক ভীষণ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
কয়েকদিন আগেই নবান্নে এসে বৈঠক করে গেছেন টিডিপি সুপ্রিমো চন্দ্রবাবু নায়ডু। আগামীকালের বৈঠকে উপস্থিত থাকার কথা আছে তাঁর। সোনিয়া গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীও এই বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া কংগ্রেস নেতা মল্লিকার্জুন খাড়গে, আরজেডির তেজস্বী যাদব, গুলাম নবি আজ়াদ, আনন্দ শর্মা, ফারুক আবদুল্লা-সহ আঞ্চলিক দলের একাধিক নেতারা অংশগ্রহণ করবেন বলে জানা গেছে। তবে, মায়াবতী থাকছেন কিনা এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। সূত্রের খবর, বসপা সুপ্রিমো নিজে উপস্থিত না থাকলেও প্রতিনিধি পাঠাতে পারেন।
ছত্তীসগড়, মধ্যপ্রদেশ, মিজোরাম, রাজস্থান ও তেলেঙ্গানায় বিধানসভা নির্বাচন হয়ে গিয়েছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কার্যত সেমিফাইনাল ধরা হচ্ছে এই নির্বাচনকে। আগামী মঙ্গলবার ১১ ডিসেম্বর ৫ রাজ্যের ভোটের ফল প্রকাশ হবে। ঠিক তার আগের দিনই বিজেপি বিরোধী জোটের সঙ্গে মমতার এই বৈঠক ঘিরে তাই জাতীয় রাজনীতিতে উত্তেজনার পারদ ক্রমশ চড়ছে। উল্লেখ্য, আগামী ১২ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাজধানীতেই থাকবেন মমতা।