কথা ছিল যে পথ দিয়ে রথ যাবে, সেই পথেই পবিত্রযাত্রা করবে তৃণমূল। আদালতের রায়ে রথযাত্রা থমকে গেছে, কিন্তু সভা তো হয়েছে। তাই কোচবিহারের ঝিনাইডাঙায় বিজেপির সেই সভাস্থলেই আজ রবিবার পবিত্রযাত্রা কর্মসূচি পালন করল তৃণমূল। সেখানে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার বার্তা দিলেন তৃণমূল নেতা পঙ্কজ ঘোষ।
আজ সকাল থেকেই ঝিনাইডাঙায় ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কের পাশে বিজেপি-র সভাস্থলের কাছে জড়ো হতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। সভাস্থলের কিছুটা দূর থেকে শুরু হয় মিছিল। ঝাঁটা, মাটির হাঁড়ি আর বালতিতে গোবরজল নিয়ে তৃণমূল কর্মীদের মিছিল এগোতে শুরু করে। কোচবিহারে পছন্দসই সভাস্থল না পেয়ে দলীয় কর্মী চিনু কুণ্ডুর জমিতে সভা করেছিল বিজেপি। মিছিল নিয়ে সেই জমিতেই হাজির হন কর্মীরা। তখন মঞ্চ খোলার কাজ চলছে। রীতিমতো ধর্মীয় আচার পালনের ঢঙে রাস্তা থেকেই চারদিকে গঙ্গাজল ও গোবর ছেটাতে থাকেন তৃণমূলকর্মীরা। জমিতে ঢুকে জমির চারপাশ পরিক্রমা করে গোবর-গঙ্গাজল ছেটানো হয়। প্রতীকী ঝাঁটও পড়ে। সঙ্গে সাম্প্রদায়িকতা-বিরোধী স্লোগান।
তৃণমূল নেতা পঙ্কজ বলেন, ‘কোচবিহারের মাটি মদনমোহন ঠাকুরের পবিত্র মাটি। এখানকার মানুষ শান্তি-সম্প্রীতির পক্ষে। এই মাটিকে কলুষিত করতে চেয়েছে সাম্প্রদায়িক বিজেপি। আমরা তার প্রতিবাদে এই মাটি শুদ্ধ করতে গোবর আর গঙ্গাজল ছিটিয়েছি।’
প্রসঙ্গত, কোচবিহার তো বটেই, আদালতের নির্দেশে তারাপীঠ এবং কাকদ্বীপ থেকে বিজেপি–র বাকি দু’টি রথযাত্রাও আপাতত স্থগিত হয়ে গেছে। জলে গেছে সব আয়োজনও। রথযাত্রার দিনক্ষণ জানার জন্য রাজ্য সরকারের সঙ্গে আলোচনা করতে চেয়ে এদিন নবান্নে গিয়ে চিঠি দিয়ে এসেছেন বিজেপি–র তিন নেতা।
বস্তুত, হাইকোর্ট রথযাত্রায় অনুমতি না দেওয়ায় প্রবল চাপে বিজেপি। কে হাইকোর্টে মামলা করতে গেল, সেই নিয়েই এখন প্রবল কোন্দল দলের অন্দরে। এমন পরিস্থিতিতে তৃণমূল পবিত্রযাত্রা বের করে তাদের পালের হাওয়া কেড়ে নিল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাই তৃণমূলের সফল পবিত্রযাত্রায় বিজেপির ওপর চাপ আরও বাড়ল।