‘আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আসামে বিজেপি সরকার থাকবে না’। পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে আসামে গিয়ে তৃণমূল প্রার্থীর সমর্থনে জনজোয়ার দেখে এমনই মন্তব্য করলেন রাজ্যের মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
আসামে ধূপগুড়িতে পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এলাকার তৃণমূল প্রার্থীদের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তাঁদের অবস্থা সম্পর্কে জানতে চান। সভায় বক্তব্য পেশ করতে গিয়ে বলেন, ‘নাগরিকপঞ্জির নামে ৪০ লক্ষ বাঙালির নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। অসমে বিজেপি সরকার বাঙালিদের ওপর অত্যাচার করছে। সংখ্যালঘু ভাইবোনদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে। ভাষা নিয়ে ভাগাভাগি করছে। এটা চলতে দেওয়া যাবে না। ২০১৯–এ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি-কে হঠিয়ে নতুন সরকার আসবে’। জনসভায় ছিলেন অসম তৃণমূলের রাজ্যসভাপতি গোপীনাথ দাস।
আসামে প্রচারে এসে আপ্লুত রবীন্দ্রনাথ। তাঁর কথায়, ‘যেভাবে আসামে তৃণমূলের প্রচার হচ্ছে তা সত্যি আমাদের অবাক করেছে। চারিদিকে দিদির ছবি, ব্যানার ও পোস্টার লাগানো হয়েছে। পঞ্চায়েতেই বিজেপিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না’।
হবে নাই বা কেন! গেরুয়া শিবিরের এনআরসি নামে বাঙালি খেদানোর রাজনীতির বিরুদ্ধে প্রথমেই গর্জে উঠেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বাঙালিদের গণহত্যার সময়েও আসামে প্রতিনিধিদল পাঠিয়েছিলেন। বাংলায় পালন করেছিলেন কালা দিবস। নিহতদের পরিবারের জন্য পাঠিয়েছিলেন অর্থসাহায্যও। আসামের বাঙালিদের যে কোনও বিপদে পাশে দাঁড়িয়েছেন মমতা। তাই আসামের বাঙালিরাও দুহাত ভরে সমর্থন জানাচ্ছে তৃণমূল প্রার্থীদের।