শীর্ষ নেতৃত্বের উদ্দেশ্যে তোপ দেগে দল ছাড়লেন বিজেপি নেত্রী সাবিত্রী বাই ফুলে। উত্তরপ্রদেশের বাহারাইচের এই সাংসদের অভিযোগ, বিজেপি সমাজে ভেদাভেদ সৃষ্টি করছে।
কিছুদিন ধরেই দলের সঙ্গে সংঘাত চলছিল এই দলিত নেত্রীর। শেষপর্যন্ত দলই ছাড়লেন। ইস্তফা দিয়ে সংবাদমাধ্যমকে সাবিত্রী বলেন, ‘এদেশে সংবিধানকে ধ্বংস করার একটা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে বিজেপি। পাশাপাশি দলিত ও পিছড়েবর্গদের সংরক্ষণ তুলে দেওয়ার চেষ্টা করছে’। পাশাপাশি জানিয়েছেন, সংবিধানকে আক্ষরিক ভেবে ও মর্মবস্তুতে প্রয়োগ করাই তাঁর লক্ষ্য। সঙ্গে জানিয়ে রাখেন, ‘আমি দল থেকে ইস্তফা দিয়েছি। কিন্তু মেয়াদ থাকা পর্যন্ত সাংসদ হিসেবে আমি কাজ চালিয়ে যাব’।
সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে, আগামী ২৩ ডিসেম্বর থেকে দলিতদের দাবিদাওয়া নিয়ে তিনি আন্দোলনে নামবেন বলে জানিয়েছেন সাবিত্রী ফুলে।
এর আগে বহুবার বিজেপির কাজকর্ম নিয়ে সমালোচনা শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। দুদিন আগেই বলেছিলেন, হাতে কোনও ইস্যু নেই বলে রামমন্দির নিয়ে নাচানাচি করছে বিজেপি। দেশের সংবিধান প্রয়োজন, মন্দির নয়। অনাস্থা প্রস্তাবের সময় তিনি দলের হয়ে ভোট দেবেন কিনা তা নিয়েও ভাবতে হয়েছিল বিজেপি নেতাদের। অবশ্য তার আগে থেকেই এই দলিত নেত্রীর সঙ্গে বিজেপির সম্পর্ক খারাপ হতে থাকে। এবার দলই ছেড়ে দিলেন উত্তরপ্রদেশের এই সাংসদ।
কয়েকদিন আগে যোগী বলেছিলেন হনুমান ‘দলিত’ ছিলেন। এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে মুখ খোলেন সাংসদ সাবিত্রী। বলেন, ‘হনুমান ভগবান রামের জন্য সব করেছেন। তাহলে তিনি মানুষ না হয়ে বাঁদর হলেন কেন? শুধু তাই নয় দলিত বলে তাঁকে নানা রকম কটাক্ষও সহ্য করতে হয়েছিল। দলিতদের মানুষ ভাবতে সমস্যা কোথায়’? বিজেপি নেতাদের দলিতদের বাড়িতে অন্নগ্রহণের কর্মসূচি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন সাবিত্রী। এছাড়া মহম্মদ আলি জিন্নাহকে ‘মহাপুরুষ’ আখ্যা দিয়ে বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছিলেন তিনি।