আরএসপি-র সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন প্রবীন নেতা ক্ষিতি গোস্বামী। দিল্লীর মভলঙ্কর অডিটোরিয়ামে ৩ দিন ধরে চলা আরএসপি-র সর্বভারতীয় সম্মেলনে সর্বসম্মতিক্রমে এই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হওয়ার পর ক্ষিতি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধির পাশাপাশি বৃহত্তর বাম ঐক্য গঠনই আমার প্রাথমিক লক্ষ্য হবে’। পাশাপাশি জানিয়ে দিয়েছেন, বিজেপি এবং কংগ্রেসের থেকে সমদূরত্ব রেখেই চলতে চান তাঁরা।
একইসঙ্গে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্রের কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের বিষয়ে নিজের মনোভাব জানান ক্ষিতি। বলেন, ‘এমন জোট হলে আখেরে আরএসপি-সহ বাম শরিক দলগুলির ক্ষতি হয়। কারণ, বামেদের ভোট কংগ্রেসে গেলেও কংগ্রেসের ভোট আসে না। ২০১৬-এর বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ মিলেছে’।
অসুস্থতার জন্য আরএসপি-র বিদায়ী সাধারণ সম্পাদক টি জে চন্দ্রচূড়ন এবারের সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে পারেন নি। দলের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক রিপোর্ট পেশ করেন কেরলের এন কে প্রেমচন্দ্রন এবং বাংলার মনোজ ভট্টাচার্য। তবে নতুন সাধারণ সম্পাদক পদে তাঁদের কাউকে নিয়েই ঐকমত্য হয়নি। ক্ষিতিবাবু শ্রমিক নেতা অশোক ঘোষের নাম প্রস্তাব করলে তাতেও সিলমোহর মেলেনি। তখন অশক্ত শরীরের, ৭৫ বছরের ক্ষিতিবাবুর নামই চূড়ান্ত হয়। নবগঠিত ৫১ জনের কেন্দ্রীয় কমিটিতে বাংলা থেকে নতুন মুখ সর্বাণী ভট্টাচার্য, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়, গোপাল প্রধান, মৃন্ময় সেনগুপ্ত-সহ ৭ জন।
সম্মেলন শেষে ক্ষিতিবাবু বলেন, ‘বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বৃহত্তর বাম ঐক্য অটুট রাখা অত্যন্ত জরুরী। বামেরা বিচ্ছিন্ন হলেই সাম্প্রদায়িক শক্তি মাথা তুলবে। এখন কেন্দ্রের বিজেপিকে উৎখাত ক্রাই প্রধান লক্ষ্য। সেই লক্ষ্যে সাধ্য মতো লড়াই করতে হবে আমাদের’। তাঁর মতে, ‘যেখানে বামেদের কোনও শক্তি নেই, সেখানে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তির নির্বাচনী বোঝাপড়া হতে পারে’। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সঙ্গে বোঝাপড়ার প্রশ্নে তাঁরা ‘কট্টরপন্থা’ই বজায় রাখতে চান। এই বিষয়ে রাজ্য বামফ্রন্টে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।