নোটবন্দী, জিএসটি, সিবিআই-এর পাশাপাশি বিরোধীদের হাতে এখন অন্যতম ইস্যু দেশের কৃষি সমস্যা। ৫ রাজ্যের আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে এই কৃষি সমস্যাকেই প্রধান ইস্যু হিসেবে তুলে ধরছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। ভোট চলাকালীনই দেশের কৃষি সমস্যার এক জ্বলন্ত নিদর্শন সম্প্রতি সামনে এসেছে। সেটিকেই হাতিয়ার করে মোদী সরকারের সমালোচনার সরব হন রাহুল-সহ অন্যান্যরা।
সম্প্রতি মহারাষ্ট্রের নাসিকের কৃষক সঞ্জয় শাঠে তাঁর চাষের ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ মাত্র ১০৪০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন। এরপর ক্ষুব্ধ শাঠে আর অপেক্ষা করেননি। মহারাষ্ট্রে চাষিরা কেমনভাবে বেঁচে আছেন, তা বোঝাতে তিনি পুরো টাকাই তিনি পাঠিয়ে দেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর দফতরে। মানি অর্ডারে ঠিকানা লিখে দেন, ‘নরেন্দ্র মোদী, প্রাইম মিনিস্টার অব ইন্ডিয়া।’
এই খবরটির উল্লেখ করে রাহুল বলেন, মোদীজি দু’ধরনের হিন্দুস্থান তৈরি করছেন। একটি অনিল আম্বানিদের জন্য। যারা একটিও বিমান তৈরি না করে ৩০ হাজার কোটি টাকার রাফালের বরাদ্দ পেয়েছেন। আর অন্য হিন্দুস্থান কৃষকদের জন্য। যেখানে চার মাসের কঠোর পরিশ্রমের পর উৎপাদন করা ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ মাত্র ১০৪০ টাকায় বিক্রি করতে বাধ্য হন তাঁরা। এই সরকার ক্ষমতায় আসার আগে কৃষকদের কল্যাণে একাধিক প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু সরকারের নীতি কৃষকদের অন্ধকারে ঠেলে দিয়েছে।
৭ ডিসেম্বর ভোট। গতকাল তাই তেলেঙ্গানায় ভোট প্রচারে গিয়েছিলেন রাহুল। সেখানে বিজেপি এবং তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি (টিআরএস) পৃথকভাবে ভোটে লড়ছে। এ নিয়ে রাহুলের কটাক্ষ, পুরোটাই চোখে ধুলো দেওয়ার চেষ্টা। বিজেপি এবং টিআরএস তলায় তলায় একে অপরের হাত ধরেছে। কেন্দ্র এবং রাজ্যে শাসন ক্ষমতা বজায় রাখতে প্রধানমন্ত্রী মোদী ও তেলেঙ্গানার কার্যনির্বাহী মুখ্যমন্ত্রী কে চন্দ্রশেখর রাও পরস্পরের ‘পাটর্নার’ হয়েছেন বলে দাবি করেন কংগ্রেস সভাপতি।