কেঁচো খুঁড়তে বেরিয়ে পড়ছে একের পর এক কেউটে! একইসঙ্গে চলছে পারস্পরিক দোষারোপ ও কাদা ছোঁড়াছুঁড়ির পালা। ফলে থামার তো নামই নেই, বরং সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধ এখন আরও রোমাঞ্চকর হয়ে উঠছে দিন দিন।
রাকেশ আস্থানা তোলাবাজির ‘কিং পিন’। তিনিই আর্থিক দুর্নীতির মূল সুবিধাভোগী। এবার দিল্লি হাইকোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে এমনই অভিযোগ করলেন সিবিআইয়ের যুগ্ম অধিকর্তা এ কে শর্মা৷ দিল্লি হাইকোর্টে নিজের বিরুদ্ধে যাবতীয় এফআইআর খারিজ করার আবেদন জানিয়েছিলেন সিবিআইয়ের বিশেষ অধিকর্তা আস্থানা৷ সেই আর্জি খারিজের আবেদন জানিয়েই এই হলফনামা শর্মার৷
বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই অধিকর্তা অলোক কুমার ভার্মার মামলার শুনানি৷ এর আগে সংবাদমাধ্যমে তাঁর জবাবের একাংশ প্রকাশ পাওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ শুনানি স্থগিত করেছিলেন৷ তার পরেই শর্মার এই হলফনামা চাঞ্চল্য ফেলেছে রাজধানীতে৷ বুধবারই দিল্লি হাইকোর্ট ভার্মা ও শর্মাকে নিজেদের জবাব তৈরির জন্য আস্থানার বিরুদ্ধে থাকা অভিযোগ সম্বলিত ফাইল দেখার অনুমতি দিয়েছে যা কি না বর্তমানে সিভিসির কাছে রয়েছে৷
উল্লেখ্য, দিল্লি হাইকোর্টে এ কে শর্মা যে হলফনামা দিয়েছেন, সেখানে আস্থানা কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত মনোজ প্রসাদের জামিনের আবেদন খারিজের নির্দেশকে আইনি যুক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে৷ শর্মার যুক্তি, ‘এর আগে এই আদালতই মামলার অন্যতম অভিযুক্ত সিবিআই হেফাজতে থাকা মনোজ প্রসাদের জামিনের আবেদন খারিজ করে দেয়৷ কারণ আদালত মনে করেছিল যে, মামলার সঙ্গে মনোজ প্রসাদের প্রাথমিক যোগাযোগ রয়েছে৷ স্বাভাবিক ভাবেই যখন মনোজ প্রসাদের জামিনের আবেদন খারিজ করা হয়েছে, তখন রাকেশ আস্থানার দাবি অনুযায়ী এফআইআর খারিজের প্রশ্নই উঠছে না৷’
গুজরাট ক্যাডারের এই আইপিএসের তরফে আস্থানার বিরুদ্ধে আনা চাঞ্চল্যকর অভিযোগের পরে সিবিআইয়ের গৃহযুদ্ধে নতুন মোড় এল বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। ফলে স্বাভাবিকভাবেই সকলের চোখ এখন সিবিআইয়ের অন্দরের দিকে।