কেটে গেছে ১০ বছর। তবুও দশ বছর আগের সেই ভয়ঙ্কর জঙ্গি হামলার স্মৃতি এখনও মানুষের মনে টাটকা। নরিম্যান হাউজের গায়ে এখনও আজমল কাসভদের ধ্বংসলীলার চিহ্ন স্পষ্ট। ২০১২ সালের ২১ নভেম্বরে মুম্বই হামলার মূল সন্ত্রাসবাদী কাসভের ফাঁসিও হয়ে গেছে। তবুও এই দিনটাকে ভুলতে পারেননি কেউই। সেই দিনেই হামলাকারীদের সম্পর্কে তথ্য দিলে তাঁকে পুরষ্কার দেওয়ার ঘোষণা করল আমেরিকা৷
তবে মূল সন্ত্রাসবাদীর ফাঁসি হয়ে গেলেও এখনও এই হামলার প্রধান মদতদাতাকে ধরা যায়নি। তাই মুম্বই হামলার ১০ বছর পূর্তি উপলক্ষ্যে ট্রাম্প প্রশাসনের তরফে ঘোষণা করা হয়েছে, ২৬/১১ হামলায় যুক্তদের বিষয়ে যে তথ্য দিতে পারবে, তাঁকে মোটা অঙ্কের টাকা পুরষ্কার দেওয়া হবে। আরও জানানো হয়েছে যে, এই মামলায় অভিযুক্ত, ষড়যন্ত্রকারী, অর্থনৈতিক মদতদাতা তারা যে দেশেরই হোক না কেন, তাদের সম্পর্কে তথ্য দিতে পারলে ৫ মিলিয়ন ডলার অর্থাৎ ভারতীয় মুদ্রায় আনুমানিক ৩৫ কোটি টাকারও বেশি অঙ্কের টাকা দেওয়া হবে তথ্যদাতাকে।
মুম্বই হামলার ওই নারকীয় হত্যালীলায় পাকিস্তানের লস্কর-ই-তৈবার ১০ জন সন্ত্রাসবাদী নিযুক্ত ছিল। প্রাণ গিয়েছিল ১৬৬ জন মানুষের, যাদের মধ্যে ৬ জন আমেরিকার বাসিন্দাও ছিলেন। মার্কিন দফতর রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস সোমবার পুরষ্কার ঘোষণা করে বলেন, ‘২০০৮ সালের মুম্বই হামলায় দোষীদের চিহ্নিতকরণে এবং শাস্তি দিতে সবরকম সহায়তা করতে রাজি আমেরিকা।’ অভিযুক্তদের সম্পর্কে যে কোনও তথ্য জানাতে চাইলে আরএফজে-এর অফিসে জানানো যাবে। [email protected] এখানে ই-মেল পাঠানো যাবে। চাইলে ফোন করে তথ্য জানানো যেতে পারে 800-877-3927 এই নম্বরে। তাঁরা এও জানিয়েছেন তথ্যদাতার নাম ঠিকানা সম্পূর্ণ গোপন রাখা হবে।
প্রসঙ্গত, ওই ঘটনার সময় মুম্বইতে কম্যাণ্ডো পাঠাচ্ছিলেন জর্জ ডব্লিউ বুশ। কিন্তু তার আগেই মারা পড়ে জঙ্গিরা। নৌপ্রধান সুনীল লানবার আশ্বাস দিয়েছেন, জলপথে হামলা রুখতে ভারত এখন আরও প্রস্তুত এবং সুসংহত। ২৬/১১ প্রসঙ্গে এক প্রত্যক্ষদর্শী বলেছেন, ‘এই দিনটা আমার দ্বিতীয় জন্মদিন। বেঁচে ফিরলেও আজও একটা মারাত্মক আতঙ্ক আমাদের তাড়া করে। যে ভয়টা মনে ঢুকে গেছে সেটা সারাজীবন আমাদের তাড়া করে বেড়াবে।’