কয়েক মাসের মধ্যেই ‘ফৈজাবাদ’ হয়েছে ‘অযোধ্যা’, ‘আমেদাবাদ’ হয়েছে ‘কর্ণাবতী’, ‘এলাহাবাদ’ নাম পাল্টে হয়েছে ‘প্রয়াগরাজ’। কিন্তু কয়েকবছরেও মোদী সরকারের আপত্তিতে ‘পশ্চিমবঙ্গ’ বদলে ‘বাংলা’ হল না।
এবার এই আপত্তির বিষয় নিয়ে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে প্রতিবাদের পাশাপাশি নামবদলের পক্ষে জোরালো সওয়াল করতে চলেছে তৃনমূল। ঘটনাচক্রে রবি-সন্ধ্যায় রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ এবং মুখপাত্র ডেরেক ও’ব্রায়েন বাংলা হরফে একটি টুইট করেন, ‘তৃণমূল। আপনার। বাংলার’ যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
গোটা ঘটনায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘রাজ্য সরকারের তরফে যাবতীয় আইনি প্রক্রিয়া শেষ। কিন্তু দিল্লী সাড়া দিচ্ছে না। কিন্তু রাজনৈতিক অভিসন্ধি নিয়ে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্থানের নাম বদলে দিয়েছে ওরা’।
এরপরেই নামবদলের বিষয়ে তৃণমূলের এক প্রথম সারির নেতা বলেন, ‘সংসদের দুই কক্ষে আমাদের উপস্থিতি হেলাফেলার মতো নয়। ফলে কোনও না কোনওভাবে আমরা নামবদলের বিষয়টি সংসদে তুলবই’।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট রাজ্য বিধানসভার বিশেষ অধিবেশনে পাশ্চিমবঙ্গের নাম বদলে বাংলায় ‘বাংলা’, ইংরেজিতে ‘বেঙ্গল’ এবং হিন্দীতে ‘বাঙ্গাল’ করার প্রস্তাব পাশ হয়। কিন্তু গত জুলাই মাসে মোদী সরকার বলে ৩ টি নয়, ইংরেজি হিন্দী এবং বাংলা – তিন ক্ষেত্রেই বাংলা নাম ব্যবহার করতে হবে। সেই মর্মে আগের প্রস্তাবটির সংশোধনী পাঠাতে হবে। সেই মতো বিধানসভায় সংশোধনী পাশ হয়। কিনতি তারপরেও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক ‘বাংলা’ নাম নিয়ে আপত্তি তোলে। যার তীব্র প্রতিবাদ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন্দ্রের যুক্তি, প্রতিবেশী রাষত্রের নাম ‘বাংলাদেশ’ হওয়ায় পশ্চিমবঙ্গের নাম ‘বাংলা’ হলে বিভ্রান্তি তৈরি হতে পারে। এই যুক্তি মানতে নারাজ তৃণমূল।