৩৪ বছরের বাম জমানায় পানীয় জল নিয়ে হাজারবার অভিযোগ জানিয়েছিলেন শহরবাসী। তবে প্রতিশ্রুতি মিললেও তখন পানীয় জল মেলেনি বহু ওয়ার্ডের বহু বস্তিতেই। তবে ক্ষমতায় আসার পরই কলকাতা-সহ গোটা রাজ্যের মানুষের কাছে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবং সে কাজে অনেকাংশেই তিনি সফল।
তবে পরিকাঠামোগত কারণে এখনও শহরের কিছু জায়গায় পানীয় জলের সমস্যা রয়েছে। ফলে প্রয়োজনের তুলনায় পানীয় জল সরবরাহ কম হওয়ায় বাইপাসের দু’ধারের বিভিন্ন এলাকা-সহ গড়িয়া, বাঘা যতীন, যাদবপুর, টালিগঞ্জের বহু মানুষকে তা কিনতে হচ্ছে। তাই মাঝেমধ্যে অভিযোগও শুনতে হচ্ছে এলাকার কাউন্সিলরদের। তাঁদের বক্তব্য, এলাকায় পানীয় জলের অভাব পূরণ হয়েছে অনেকাংশেই। তবে এই পরিমাণও পর্যাপ্ত নয়। সদ্য প্রাক্তন হওয়া মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়-সহ পুর প্রশাসনের কর্তাদের কানে তা তোলা হয়েছে।
গত ১৯ নভেম্বর পুরসভার ১১ নম্বর বরো অফিসে ওই কাউন্সিলরেরা বিষয়টি জানান রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী তথা টালিগঞ্জের বিধায়ক অরূপ বিশ্বাসের কাছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে অরূপবাবু আবার যাদবপুর, টালিগঞ্জে দলের দায়িত্বেও রয়েছেন। ফলে বিষয়টি পৌঁছে যায় মুখ্যমন্ত্রীর কানেও। বৃহস্পতিবার ‘উত্তীর্ণ’-এর বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী নিজেই পানীয় জলের সমস্যার কথা তোলেন। এরপরই কলকাতার ভাবি মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, নতুন পুর পারিষদ ক্ষমতায় এসে সেই সমস্যা মেটাতে তৎপর হবে।
পুরসভা সূত্রে খবর, বর্তমানে টালা, গার্ডেনরিচ, ধাপা এবং জোড়াসাঁকো প্রকল্প থেকে প্রতিদিন ৪০ কোটি গ্যালনেরও বেশি জল উৎপাদন হয়। গত জনগণনা অনুসারে শহরে প্রায় ৪৫ লক্ষ জনসংখ্যা। সেই তুলনায় জলের জোগান কম হওয়ার কথা নয় বলেই জানাচ্ছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। তবে অভিযোগ আসায় গত সাত-আট মাসে বার পাঁচেক জল সরবরাহ দফতরের অফিসারদের নিয়ে বৈঠকও করা হয়েছে। আর এবার যেহেতু মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এ বিষয়ে কড়া নজর দিয়েছেন। ফলে যেটুকু সমস্যা রয়েছে, তাও দ্রুত মিটে যাবে বলে আশাবাদী তিনি।