এবার বিচারককে ঘুষ দেওয়ার অভিযোগ উঠল বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের বিরুদ্ধে। ভুয়ো সঙ্ঘর্ষে নিহত সোহরাবুদ্দিন মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন অমিত শাহ। নিজেকে ‘নির্দোষ’ প্রমাণে মরিয়া হয়ে সিবিআই বিশেষ আদালতের বিচারককে প্রভাবিত করার চেষ্টা করেছিলেন বম্বে হাইকোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি মোহিত শাহ এবং বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ। এমনই অভিযোগ আনলেন বিচারক বৃজগোপাল হারকিষণ লোয়ার বোন অনুরাধা বিয়ানি।
উল্লেখ্য, বিচারক লোয়ার মৃত্যুর পর ওই মালার দায়িত্বভার নেন বিচারক এমবি গোসাভি। ওই বছরের শেষের দিকেই শুনানি শেষে সোহরাবুদ্দিন ভুয়ো সংঘর্ষ মামলায় অমিত শাহকে বেকসুর ঘোষণা করে আদালত। এরপর বম্বে হাইকোর্ট এবং সুপ্রিম কোর্টেও ক্লিন চিট পান তিনি।
‘দ্য ক্যারাভ্যান’ নামক একটি রাজনৈতিক জার্নালে প্রকাশিত এক সাক্ষাৎকারে বিচারক লোয়ার বোন অনুরাধা বিয়ানি দাবি করেছেন, বিচারপতি মোহিত শাহ তাঁর দাদাকে (বিচারক লোয়া) চট জলদি মামলার নিষ্পত্তি করার জন্য চাপ দেন। এমনকি রায় যেন ইতিবাচক হয় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতেও বলেন। অনুরাধার দাবি, ‘দাদাকে গভীর রাতে ফোন করে সাদামাঠা পোশাকে দেখা করার কথা বলেন বিচারপতি মোহিত শাহ। দাদাকে নির্দেশমতো রায়দানের জন্য ১০০ কোটি টাকার প্রলোভনও দেওয়া হয়। প্রলোভন দিয়েছিলেন বিচারপতি শাহ নিজে’।
এখানেই শেষ নয়, অনুরাধার অভিযোগ, বিচারক লোয়ার মৃত্যুর পর হুমকি ফোন পায় তাঁর পরিবার। প্রাণের আশঙ্কার কথা জানিয়ে ওয়াকিফহাল মহলকে গোটা বিষয়টি জানান লোয়া পুত্র অনুজ। তবে পরিস্থিতির কোনও উন্নতিই হয়নি বলে দাবি করেছে বিচারক লোয়ার পরিবার।