আলমপুর, বইতায় যেটুকু পানীয় জল মিলত তা এতটাই নোনা যে মুখে তোলা যেত না। ফলে অনেককেই জল কিনে খেতে হত। রাস্তাও ছিল খানা-খন্দে ভরা। বর্ষায় হাটাচলাও ছিল দায়। যুব তৃণমূলের সভাপতি এবং ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সৌজন্যে এখন ঘরে ঘরে পানীয় জলের পাশাপাশি রাস্তাও হয়েছে ঝকঝকে। লোকসভা ভোটের এখনও মাস পাঁচ-ছয়েক বাকি। তার মধ্যেই সাংসদ তহবিলের বরাদ্দ অর্থের ১০০ শতাংশ খরচ করে ফেলেছেন ডায়মন্ড হারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
ডোঙ্গারিয়ায় নতুন পানীয় জল প্রকল্প মাস তিন-চারেক আগে চালু হওয়ার পর থেকে শুধু বজবজ ১ ও ২ নম্বর ব্লকই নয়, ক্যানিং, বারুইপুর পর্যন্ত বেশ কয়েক লক্ষ মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। আলমপুরের বাসিন্দা আশিস বেরার বক্তব্য, ‘পানীয় জল প্রকল্পের পাশাপাশি বজবজ শহরেই ২০টি টিউবওয়েল বসানো হয়েছে। ফলে জলের সমস্যা অনেকটাই মিটেছে।’ জল, রাস্তার সংস্কারের পাশাপাশি গঙ্গার পাড়ের সৌন্দর্যায়নের কাজেও হাত দিয়েছে প্রশাসন। স্থানীয় বাসিন্দা বছর তিরিশের নৌশাদ, মর্জিনা বিবিরা জানান, ‘চড়িয়াল মোড়ে যানজটও বজবজের একটা বড় সমস্যা ছিল। চড়িয়ালে বর্তমান ব্রিজের কাছে আরও একটা ব্রিজ তৈরির পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলে শুনেছি। সেটা হলে যানজটের সমস্যাও অনেকটা কমবে’। বজবজের মতোই গঙ্গার পাড় মেরামতির কাজ চলছে মহেশতলা, হায়েতপুর, পালপাড়া এলাকাতেও। শেখ সুলতান নামে আরও এক স্থানীয় বাসিন্দার কথায়, ‘রাস্তাঘাট দীর্ঘদিন ভাঙা অবস্থাতেই পড়েছিল। রাস্তার মান আগের থেকে অনেকটা ভালো হয়েছে। কয়েকটি জায়গায় হাই-মাস্ট আলোও বসানো হয়েছে।’
বজবজ থেকে প্রায় ১৬ কিলোমিটার দূরে মেটিয়াবুরুজ। এখানকার বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের অভিযোগ ছিল একটা ভালো হাসপাতাল নেই বলে। সাংসদ তহবিলের টাকা থেকেই মেটিয়াবুরুজে তৈরি হয়েছে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল। মহম্মদ ইরশাদ নামে রামনগর এলাকার এক বাসিন্দার কথায়, ‘আগে জরুরি কোনও প্রয়োজন হলেই বিএনআর বা এসএসকেএম হাসপাতাল পর্যন্ত যেতে হত। এখন যে নতুন হাসপাতাল হয়েছে, সেখানে ভালো ডাক্তার রয়েছেন। সময়ের সঙ্গে হাসপাতালের চেহারা আরও ভালো হবে বলে আশা করি।’ মেটায়াবুরুজে সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালের পাশাপাশি ঘিঞ্জি এলাকায় আগুন নেভানোর জন্য নতুন দমকলকেন্দ্র গড়ার পরিকল্পনাও হয়েছে সাংসদ তহবিলের টাকা থেকেই।