কেন্দ্রের আচমকা নোটবন্দী ঘোষণা এবং প্রস্তুতি ছাড়াই জিএসটি কার্যকরের পরেও বিপর্য্যয়ের পরিস্থিতি সামলে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলা। যখন দেশের সর্বত্র ক্ষুদ্র ছোট ও মাঝারি শিল্প ক্ষেত্রে টালমাটাল অবস্থা সেই সময়ে দাঁড়িয়ে বছরে ৪৪ হাজার কোটি টাকার লগ্নী এনেছে রাজ্য। এমনটাই জানালেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। রাজ্যের শিল্পমহল একে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বড় সাফল্য হিসাবেই দেখছে।
নয়াদিল্লীর প্রগতি ময়দানে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলায় ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ উপলক্ষ্যে আয়োজিত একটি সাংবাদিক বৈঠকে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭-১৮ আর্থিক বর্ষে মাইক্রো, স্মল অ্যাণ্ড মিডিয়াম এন্টারপ্রাইজের ক্ষেত্রে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক ৪৪ হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে। এটি একটি রেকর্ড। আজ পর্যন্ত এমএসএমই ক্ষেত্রে ঋণদানের এটাই সর্বাধিক। পশ্চিমবঙ্গই প্রথম রাজ্য যেখানে ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্পে ব্যাঙ্কের তরফে এত টাকা ঋণ দেওয়া হয়েছে’। মুখ্যমন্ত্রী ক্ষুদ্র, ছোট এবং মাঝারি শিল্পে বিনিয়োগ আনার যেঁ উদ্যোগ নিয়েছেন এটা তার সাফল্য বলেই দাবি অর্থমন্ত্রীর।
সরকারি তথ্যে প্রকাশ, গত সাত বছরে এমএসএমই ক্ষেত্রে ইতিমধ্যেই ১.৭৪ লক্ষ কোটি টাকা ব্যাঙ্ক ঋণ দেওয়া হয়েছে। রাজ্য সমবায় ব্যাঙ্কগুলি কিষান ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ঋণ দিয়ে থাকে। তারা যাতে এমএসএমই ক্ষেত্রেও সেই ভাবে ঋণ দিতে পারে, তা নিয়েও ভাবনা চিন্তা শুরু হয়েছে তখন থেকেই।
অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘আবগারি শিল্পের ক্ষেত্রে আমরা কীভাবে কাজ করছি, জানতে পাঞ্জাবের মন্ত্রী আমাদের রাজ্যে এসেছিলেন এবং সমস্ত তথ্য নিয়ে গেছেন। এ ব্যাপারে আমাদের মডেলে কাজ করতে চায় তারা। বেশ কয়েকটি রাজ্য ‘কন্যাশ্রী’ প্রকল্পও চালু করতে চাইছে। সারা দেশের কাছে বাংলা দৃষ্টান্ত তৈরি করছে’।