ভোটের আগে সিবিআইয়ের ঝুলি থেকে দুর্নীতির বেড়াল বেরিয়ে পড়ায় প্রথম থেকেই চাপে মোদী সরকার। একইসঙ্গে গোদের উপর বিষফোঁড়ার মতো বিরোধীদের একের পর এক তোপে কার্যত দিশেহারা কেন্দ্র। সিবিআই অফিসার এম কে সিনহার অভিযোগ বাস্তবে দিল্লিতে চলা ক্রাইম থ্রিলার ‘চৌকিদার হি চোর’-এর সর্বশেষ এপিসোড। মঙ্গলবার এই ভাষাতেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও তাঁর সরকারকে খোঁচা দিলেন রাহুল গান্ধী।
উল্লেখ্য, একদিন আগে সুপ্রিম কোর্টে হলফনামা দিয়ে সিবিআইয়ের ডিআইজি এম কে সিনহা অভিযোগ তুলেছেন, স্পেশ্যাল ডিরেক্টর রাকেশ আস্থানার বিরুদ্ধে তদন্তে হস্তক্ষেপ করেছেন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার নামে হায়দরাবাদের ব্যবসায়ীর কাছ থেকে কয়েক কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছেন কয়লা রাষ্ট্রমন্ত্রী হরিভাই পার্থিভাই চৌধুরী। পাশাপাশি, এ ঘটনায় নাম জড়িয়ে গেছে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আধিকারিকদেরও।
ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টে সিবিআই অফিসারের অভিযোগ নিয়ে নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি তোলা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। দলের মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা বলেন, গোটা ঘটনা প্রধানমন্ত্রীর দফতর ও সরকারের কাজকর্ম নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। তাহলে কি প্রধানমন্ত্রীর ‘না খাউঙ্গা, না খানে দুঙ্গা’ স্লোগান বদলে গিয়ে ‘সব খানে ওয়ালো কো বাচাউঙ্গা’ হয়ে গেল? এরা কারা, যারা দুর্নীতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে। তারা কি প্রধানমন্ত্রীর দফতরে বসেই দুর্নীতিগ্রস্তদের সাহায্য করছে? উত্তর চায় দেশবাসী। তবে এ বিষয়ে এখনও মুখ খোলেননি মোদী। তিনি যে বিপাকে পড়েছেন, তা তাঁর নীরবতা থেকেই স্পষ্ট।