মন্ত্রীত্ব থেকে পদত্যাগ করলেন শোভন চট্টোপাধ্যায়। জানা গেছে, মঙ্গলবার বিকালে মুখ্যমন্ত্রীর প্রিন্সিপ্যাল সেক্রেটারি গৌতম সান্যালের কাছে নিজের ইস্তফাপত্র জমা দিয়েছেন আবাসন ও দমকলমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, শোভন চট্টোপাধ্যায়ের ইস্তফা গৃহীত হয়েছে। তাঁর ইস্ততফাপত্র রাজভবনে রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠির কাছে পাঠানো হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আগামীকাল মেয়র পদ থেকেও শোভন চট্টোপাধ্যায় ইস্তফা দেবেন বলে জানা গেছে।
শোভন চট্টোপাধ্যায়ের কাজকর্ম নিয়ে ইদানিং খুবই ক্ষুব্ধ ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ মঙ্গলবার বিধানসভায় কাজকর্ম নিয়ে ফের ধমকের মুখে পড়েন শোভন। দু-দুবার শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিজের কক্ষে ডেকে নেন মুখ্যমন্ত্রী। মিনিট দশেক দুজনের মধ্যে একান্তে কথা হয়। তখনই নেত্রীর ধমকের মুখে পড়েন আবাসন ও দমকলমন্ত্রী। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনের জেরে রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব কোনওটাই শোভন চট্টোপাধ্যায় ঠিকমতো পালন করতে পারছেন না বলে, তাঁকে সাফ জানান মুখ্যমন্ত্রী।
এরপরেই মন্ত্রীত্ব থেকে ইস্তফা দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেন শোভন। সেই অনুযায়ী ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেন রাজ্যের দমকলমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত, শোভন চট্টোপাধ্যায় কলকাতা পুরসভার মেয়র ছাড়াও রাজ্যের দমকল এবং আবাসন মন্ত্রকের দায়িত্বে ছিলেন। মেয়র পদ ছাড়া বাকি দুই মন্ত্রীর পদ থেকে তিনি ইস্তফা দিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে ডিভোর্স মামলাকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে চলে আসে মেয়র ও মেয়রপত্নীর পারিবারিক বিবাদ। ব্যক্তিগত জীবনে টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে দলের সঙ্গেও দূরত্ব বাড়ে মেয়রের। তাঁর কাজকর্ম নিয়েও অসন্তোষ জমা হয় দলের অন্দরে। এরপর দলীয় বৈঠকে একবার প্রকাশ্যেই শোভন চট্টোপাধ্যায়কে সতর্ক করতে শোনা গিয়েছিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। অক্টোবরের শুরুর দিকে তৃণমূলের কোর কমিটির বৈঠকে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলা সভাপতির পদ থেকেও সরিয়ে দেওয়া হয় তাঁকে। করা হয় জেলা পর্যবেক্ষক। মূলত দায়িত্ব কমিয়ে দেওয়া হয় তাঁর। এবার তিনি নিজেই আবাসন এবং দমকল মন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন।