সারা দেশ যখন রিজার্ভ ব্যাঙ্ক পর্ষদের সোমবারের বৈঠকের দিকে তাকিয়ে, ঠিক তখনই সামনে এল ঋণখেলাপি নিয়ে কেন্দ্রীয় তথ্য কমিশনের দ্বিতীয় দফার নির্দেশ।
সেখানে রাজনের চিঠি প্রকাশ না করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর দফতরকে তুলোধোনা করেছে তথ্য কমিশন। তথ্য কমিশনার শ্রীধর আচার্যলু বলেছেন, ‘যদি কোনও ব্যতিক্রমের ভিত্তিতে ওই চিঠি প্রকাশে প্রধানমন্ত্রীর দফতরের আপত্তি থাকে, তবে সে কথা জানিয়ে আবেদন করা উচিত ছিল। যুক্তি দেওয়া উচিত ছিল নির্দেশ প্রত্যাখ্যানের পক্ষে’।
তথ্য কমিশনারের মতে, কারা ব্যাঙ্কগুলিকে ঋণের টাকা ফেরাননি ও সেই তহবিল উদ্ধারের জন্য তাঁদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, ভারতের নাগরিকদের তা জানানো প্রধানমন্ত্রীর দফতরের ‘নৈতিক, সাংবিধানিক ও রাজনৈতিক দায়িত্ব’। কারণ তা আদতে আয়করদাতাদেরই অর্থ। যে কারণে দফতরের অবস্থান সাধারণ মানুষের স্বার্থ রক্ষা করে না। আচার্যলু খেলাপিদের নাম ও রাজনের চিঠির বিষয়টি প্রকাশ্যে না আনার সিদ্ধান্তকে তকমা দিয়েছেন তথ্যের অধিকার আইন ও সংসদের সার্বিক উদ্দেশ্যের বিরোধী, গণতন্ত্রের প্রতি আক্রমণ ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ সম্পর্কে অশ্রদ্ধা হিসেবে।
পাশাপাশি রিজার্ভ ব্যাঙ্ককেও ভর্ৎসনা করেছে তথ্য কমিশন। রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে একহাত নিয়ে তাঁর কটাক্ষ, শীর্ষ ব্যাঙ্কের অন্দরে আইনি বিষয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকের অভাব নেই। তা সত্ত্বেও স্বেচ্ছায় ঋণ খেলাপিদের নাম প্রকাশের ক্ষেত্রে সরাসরি তথ্যের অধিকার আইন, তথ্য কমিশনারের নির্দেশ, সর্বোপরি শীর্ষ আদালতের অবমাননা হয় কী করে!