বিজেপিকে রুখতে ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে ত্রিপুরা, আসাম, মণিপুর, অরুণাচল, বিহার, ঝাড়খণ্ড, মহারাষ্ট্র, ওড়িশা এবং ঝাড়খণ্ডেও প্রার্থী দেবে তৃণমূল। আজ শুক্রবার বর্ধিত কোর কমিটির বৈঠকে নেতাজি ইন্ডোর থেকে এই ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই রাজ্যগুলির সাংগঠনিক দায়িত্ব তিনি ভাগ করে দিলেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতার মধ্যে৷
এদিনের বৈঠকে প্রথম থেকেই মোদী সরকারের বিরুদ্ধে খড়গহস্ত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপিকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘সংবিধানকে বদলে দিয়েছে বিজেপি৷ এরা ‘বিজেপি হিস্ট্রি চেঞ্জার, নেম চেঞ্জার, পলিসি চেঞ্জার, নোট চেঞ্জার, ইনস্টিটিউশন চেঞ্জার। আর তাতেই কান্ট্রি ডেনঞ্জার। ক্ষমতার অপব্যবহার করছে বিজেপি। ইভিএম নিয়ে কারচুপি করে। সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। তিনবার ইভিএম পরীক্ষা করে দেখতে হবে। ৪০ শতাংশ ইভিএম খারাপ করতে চায় বিজেপি। এদের জন্যই দেশ এখন বিপদের মুখে পড়েছে। বিজেপি মাওবাদীদের টাকা দিয়ে কাজে লাগাচ্ছে’।
পাশাপাশি দলের নেতা, মন্ত্রী, কর্মীদেরও বার্তা দেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘সবাইকে নিয়ে চলাই আমাদের কাজ। মানুষের পাশে না থাকলে তাদের পাশে দলও থাকবে না। দলকে নিজের মায়ের মতো, আত্মার মতো লালনপালন করতে হবে। দলকে ভাল করে সাজাতে হবে। সরকারের কাটমানি নিয়ে আমি দল চালাই না। অন্য জায়গায় যেতে পারেন, টাকা পাবেন। কিন্তু সম্মান পাবেন না। যারা দলের দুর্দিনে পাশে ছিল তাদের ডেকে আনুন। না হলে আমি তাদের ডেকে আনব। আমার বাড়িতে চিঠি দেবেন। দেখছি কে, কত বড় নেতা হয়েছে। ব্যক্তি স্বার্থের কথা না ভেবে মানুষের স্বার্থের কথা ভাবতে হবে।’
আগামী ১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ। সেই প্রসঙ্গে মমতা বলেন, ‘১৯ জানুয়ারি ব্রিগেড সমাবেশ। সেখানে বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ও শীর্ষ নেতারা আসবেন। তার জন্য বুথে বুথে সভা করতে হবে। একটাই পোস্টার হবে। দল যেটা বানিয়ে দেবে। আর এই ব্রিগেড সমাবেশই হবে টার্নিং পয়েন্ট।’ সেখান থেকেই যে বিজেপির বিদায় ঘন্টা বাজিয়ে দেওয়া হবে সে বার্তাই দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বলে মনে করছেন রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকরা।
উল্লেখ্য, লোকসভা ভোট মাথায় রেখে বিভিন্ন রাজ্যের সাংগঠনিক দায়িত্ব মমতা ভাগ করে দিলেন দলের একাধিক শীর্ষ নেতার মধ্যে৷ এর মধ্যে বিহারের দায়িত্বে রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও বিধায়ক অর্জুন সিং, মহারাষ্ট্রের দায়িত্বে সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী এবং মণিপুর ও মিজোরামের দায়িত্ব দিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় মুখপাত্র ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনকে৷