আগেই শুরু হয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেট-সিন্ডিকেটের ঘরগুলির রক্ষণাবেক্ষণের কাজ। এবার সেনেট রুমের ২২টি দুষ্প্রাপ্য তৈলচিত্রের পুনরুদ্ধার এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজও শুরু করে দিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। হেরিটেজ কমিশনের পরামর্শে এই কাজ হচ্ছে বলে খবর।
বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের গোটা ভবনেরই সংস্কার কাজ শুরু হয়েছে। এর মধ্যে সিন্ডিকেট ঘর নবরূপে সেজে উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত উপাচার্যদের ছবিও সংস্কার করে নয়া রূপে সাজানো হয়েছে। এবার হাত দেওয়া হল তৈলচিত্রগুলির মেরামতির কাজে।
জানা গেছে, যে সব ছবি সেনেট হলে টাঙানো রয়েছে, তাদের প্রত্যেকেরই বয়স ১০০-এর কাছাকাছি। ওই তৈলচিত্রগুলির মধ্যে রয়েছে বিশিষ্ট চিত্রকর চিন্তামণি করের আঁকা মহাত্মা গান্ধী, ইশা মহম্মদের আঁকা ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর এবং জে পি গঙ্গোপাধ্যায়ের আঁকা রাসবিহারী ঘোষের তৈলচিত্র। এছাড়াও আছে একাধিক বিশিষ্ট মানুষের ছবি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের এক কর্তা জানান, এই সব ছবি বিশ্ববিদ্যালয়কে দেওয়ার জন্যই করা হয়েছিল। সেনেট হল তৈরির পর থেকেই এই ছবিগুলি সেখানে রয়েছে। কিন্তু এখন ছবিগুলির যা অবস্থা, তাতে সংস্কারের বিশেষ প্রয়োজন। ফলে তড়িঘড়ি শুরু হয়ে পুনরুদ্ধারের কাজ।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে খবর, সিন্ডিকেটে ভবন সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময়ই ঠিক হয়েছিল, সেনেট-সিন্ডিকেট হলের অন্দরও ঠিকঠাক করা হবে। সেই সময়ই ঘরের বাইরের বারান্দার দেওয়ালে ঝোলানো বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত উপাচার্য এবং আচার্যদের ছবিগুলি সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু সেনেট হলের তৈলচিত্রগুলির মেরামতি বিশেষজ্ঞদের হাতেই ছাড়তে চেয়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। সেজন্যই রাজ্য হেরিটেজ কমিশনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়।
কমিশনের চেয়ারম্যান শুভাপ্রসন্ন বলেন, এই তৈলচিত্রগুলি খুবই দুর্মূল্য। যেমন শশী হেশের আঁকা ডব্লু সি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছ’ফুট ছবিটি। কিন্তু রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে ছবিগুলি কালো হয়ে গিয়েছিল। আমরা খবর পেয়েই সংস্কার কাজ শুরু করে দিয়েছি। কাজ অনেকটাই এগিয়েছে। আশা করছি দ্রুত তা শেষ হয়ে যাবে।