চন্দননগরবাসীর প্রধান উৎসব জগদ্ধাত্রী পুজো। বছরের এই সময়টার জন্য এখানকার মানুষ সারাবছর অপেক্ষা করে থাকেন। এর পাশাপাশি, বিদেশি পর্যটক থেকে শুরু করে লক্ষাধিক মানুষের সমাগম হয় পুজোর ক’দিন। বাইরে থেকে ঠাকুর দেখতে এসে দর্শনার্থীরা যাতে কোনও রকম অসুবিধার সম্মুখীন না হন, তার জন্য সম্পূর্ণ প্রস্তুত চন্দননগরের পুলিশ প্রশাসন।
রবিবার জগদ্ধাত্রী পুজোর রুট ম্যাপের উদ্বোধন করলেন পুলিশ কমিশনার অজয় কুমার। ছিলেন ডিসিপি হেড কোয়ার্টার বৈভব তিওয়ারি, ডিসিপি (ডিডি) স্বাতী ভাঙালিয়া, ট্রাফিক বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার মৃণাল মজুমদার এবং চন্দননগর পুরনিগমের কমিশনার স্বপন কুণ্ডু প্রমুখ।
উদ্বোধন শেষে চন্দননগর স্ট্যান্ডে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে কমিশনার জানিয়েছেন, ৫ দিন ধরে পুজো চলবে। পুজোর ক’দিন রোজ প্রায় আড়াই লক্ষ মানুষের ভিড় হয় চন্দননগরে। তাই দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য রাখা হয়েছে কড়া নজরদারি ব্যবস্থা। ড্রোনের পাশাপাশি প্রত্যেকটি রাস্তায় থাকছে সিসি ক্যামেরা। বোট নিয়ে গঙ্গাতেও নজরদারি চালাবে পুলিশ। পুজো কমিটিগুলিকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, মন্ডপে রাখতে হবে অগ্নি নির্বাপক যন্ত্রও।
ইতিমধ্যেই রাস্তার প্রায় সর্বত্রই শতাধিক সিসি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। মনিটরিংয়ের জন্য একটি বিশেষ কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। জানা গেছে, রাস্তার প্রায় প্রত্যেক মোড়েই থাকবে পুলিশ অ্যাসিস্ট্যান্ট বুথ। দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে সিভিক ভলান্টিয়ার এবং মহিলা পুলিশ–সহ প্রায় ৩ হাজার পুলিশকর্মী নিযুক্ত থাকবে চন্দননগরে। থাকছে পুলিশের কুইক অ্যাকশন টিমও।