‘ঘরে কেউটে সাপ ঢুকলে যেভাবে আচরণ করেন, ঠিক সেইভাবেই গণতান্ত্রিক উপায়ে জবাব দিন। যাতে দু’মুখো কেউটে সাপগুলো আর পুরুলিয়ায় ঢুকতে না পারে।’ পুরুলিয়ার পুঞ্চা এলাকার কিষাণ মাণ্ডি প্রেক্ষাগৃহের প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভা থেকে এভাবেই বিজেপির বিরুদ্ধে তোপ দাগলেন যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি ও সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
নিহত তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহার পরিবারকে সমবেদনা জানাতে মৃতের বাড়িতে যান অভিষেক। নিহত কর্মীর মাকে অর্থ সাহায্য-সহ পরিবারের একজনকে চাকরি দেবার কথা জানিয়ে ‘খুনি’-দের উপযুক্ত শাস্তির দাবি জানান তিনি। সেখান থেকে পুঞ্চা কিষাণ মাণ্ডি প্রেক্ষাগৃহের প্রতিবাদ ও ধিক্কার সভায় যোগ দেন অভিষেক। বলেন, ‘তৃণ্মূল-বিজেপির লড়াই তারা মাঠে লড়ে নেবে। কিন্তু এই ঘটনা ঘটিয়ে যারা পার পাবে ভাবছে, তাদের বলে দিতে চাই, এই লড়াই আমরা আদালতেও লড়ব। হত্যাকারীদের ফাঁসি বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড চাই’।
উল্লেখ্য, ৭ নভেম্বর ভোর রাতে বলির পাঁঠার মাংস নিজের বাড়িতে রান্নার সময় তৃণমূল কর্মী পিন্টু সিনহাকে গুলি করে খুন করা হয় বলে অভিযোগ। পরিবারের একমাত্র রোজগেরে সদস্য ছিলেন তিনি। তাই প্রতিবাদ সভা থেকে অভিষেক বলেন, ‘যেভাবে একটি ব্যক্তির ওপর পরিবার নির্ভরশীল হ্যেছিলতাতে আমি মনে করি ওই পরিবার অভিভাবকহারা হল। অত্যন্ত অমায়িক একজন সহজ-সরল যুবককে নিষ্ঠুর ও সুপরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে’।
এই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ২ অভিযুক্ত এলাকায় বিজেপি কর্মী বলে পরিচিত। ধৃতদের মধ্যে একজনের আত্মীয় এবারের ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত নির্বাচনে গ্রাম পঞ্চায়েত স্তরে বিজেপির প্রার্থী হয়েছিলেন। সেকথা মনে করিয়ে দিয়ে সাংসদ বলেন, ‘যারা এই ঘটনা ঘটিয়েছেন তাদের মধ্যে ২ জন গ্রেপ্তার হয়েছে। তাদের সঙ্গে কোন দলের যোগ রয়েছে তা আর আমাকে বলতে হবে না। আপনারা ভালো করে জানেন। তাদের পরিবারের সদস্য কোন ফুলে দাঁড়িয়ে কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন সেটাও আপনাদের জানা’।
এলাকার বাসিন্দাদের নিহত পিন্টুর পরিবারের পাশে থাকার কথাও বলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, ‘শান্তি, শৃঙ্খলা, কৃষ্টি, সংস্কৃতি রক্ষা করুন। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্য জুড়ে যে উন্নয়ন করছেন তার পাশে থাকুন’।