প্রত্যাশিত গোলটা ঠিকই করলেন রোনালদো। জুভেন্টাসের জার্সি গায়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে তাঁর প্রথম গোল। কিন্তু তারপরও হার দেখতে হয়েছে তার দলকে। আত্মঘাতী গোলে রোমাঞ্চকর এক জয় পেয়েছে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। জুভেন্টাসের মাঠে ২-১ গোলে জয় পেল মরিনহোর দল।
ম্যাচের ৩৪ মিনিটেই এগিয়ে যেতে পারতো জুভেন্টাস। রোনালদোর পাস থেকে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন কুয়ার্দাদো। ডিফেন্ডারের গায়ে লেগে লক্ষ্যের দিকেই এগিয়ে যাচ্ছিল বল। কিন্তু দারুণ দক্ষতায় ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পরে সে শট ফিরিয়ে দেন ম্যানইউ গোলরক্ষক দাভিদ দি হেয়া। পরের মিনিটেই ভাগ্যও বঞ্চিত করে জুভেন্টাসকে। রোনালদোর ক্রস থেকে ফাঁকায় বল পেয়ে সামি খেদিরার নেওয়া শট বারপোস্টে লেগে বেড়িয়ে যায়।
৬৫ মিনিটে গোল পায় জুভেন্টাস। প্রায় মাঝ মাঠ থেকে নিখুঁত এক পাস দেন লিওনার্দো বানুচ্চি। ওয়ান টাচে দারুণ ফিনিশিং দেন পর্তুগিজ ফরোয়ার্ড।
৭৯ মিনিটে গোল পেতে পারতো ম্যানইউ। ডিবক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক শট নিয়েছিলেন মার্কাস রাশফোর্ড। কিন্তু অল্পের জন্য তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। তবে ৮৬ মিনিটে বদলী খেলোয়াড় হুয়ান মাতার গোলে সমতায় ফেরে ইংলিশ দলটি। দুর্দান্ত এক ফ্রিকিকে লক্ষ্যভেদ করেন স্প্যানিশ এ মিডফিল্ডার।
চার মিনিট পর স্বাগতিকদের স্তব্ধ করে দেয় ম্যানইউ। যদিও ভাগ্যের জোরেই গোল পায় দলটি। পগবার ফ্রিকিকে ঝাঁপিয়ে পরে ফেরান গোলরক্ষক উইচেক সেসনি। কিন্তু ফিরতি বল গোলমুখে থাকা বানুচ্চির গায়ে জালে প্রবেশ করে। যোগ করা সময়ে পাল্টা আক্রমণে দিনের সেরা সুযোগটি পেয়েছিলেন রাশফোর্ড। ফাঁকায় থেকেও গোলরক্ষককে পরাস্ত করতে পারেনি তিনি। তবে জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে ম্যানইউ। ফলে প্রথম লেগে ০-১ গোলের হারের দারুণ প্রতিশোধ নিল দলটি।
চার ম্যাচে ম্যানইউর সংগ্রহ ৭ পয়েন্ট। তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে তারা। সমান সংখ্যক ম্যাচে ৯ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে জুভেন্টাস। গ্রুপের আরেক ম্যাচে ইয়াং বয়েজকে ৩-১ গোলে হারিয়ে ৫ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে আছে ভেলেন্সিয়া।