একেবারে যেন নেতার ভূমিকায়। প্র্যাকটিস চলাকালীন সতীর্থদের কোনও ভুলত্রুটি হলে তৎক্ষণাৎ দৌড়ে যাচ্ছেন। কাঁধে হাত রেখে বুঝিয়ে দিচ্ছেন। সতীর্থরা ড্রেসিংরুমে বলাবলি করেন, নেতৃত্ব তঁার স্বভাবজাত। সবার সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলতে পারেন। সতীর্থদের আপদ–বিপদে পাশে থাকেন। সমস্যা হলে আলোচনা করে তা মেটানোর চেষ্টা করেন। কার কথা বলা হচ্ছে, এতক্ষণে পাঠক নিশ্চয়ই আঁচ করে ফেলেছেন। হ্যাঁ, সনি নর্ডির কথা।
আই লিগের প্রথম দু’ম্যাচে জয়ের দেখা নেই। আগের ম্যাচে মাঠে নেমে, গোল করেও জেতাতে পারেননি। বুঝতে পারছেন, হোম ম্যাচে পয়েন্ট নষ্ট করলে পরেরদিকে কাজ কতটা কঠিন হতে পারে। মঙ্গল–সকালে অনুশীলনে দেখা গেল, হাইতিয়ানের বাড়তি তাগিদ।
সোমবারই সত্যজিৎ চ্যাটার্জি বলেছিলেন, ‘এবারে সনিকে আগের থেকে আরও ফিট মনে হচ্ছে। ও বড় মাপের ফুটবলার। খুব সিরিয়াস। চোট সারানোর জন্য প্রচণ্ড পরিশ্রম করেছে। তার ফল পাচ্ছে এখন। ওর খিদেটা এবারে অনেক বেশি।’ সনির ওপর যে প্রত্যাশার চাপ রয়েছে, তা তিনি বেশ ভালই বুঝতে পারছেন। এদিনের অনুশীলনে সনিকে একেবারে নেতার ভূমিকায় দেখা যায়। গতবার প্র্যাকটিসের শুরুর আগে এবং পরে ড্রেসিংরুমে সতীর্থদের নিয়ে আলোচনা করতেন। এবারেও আগামী দিনে ড্রেসিংরুমে সেই আলোচনা শুরু করতে পারেন সনি। সতীর্থরাও সনিকে খুব মানেন। ডিপান্ডা ডিকা বলেন, ‘সব ম্যাচই কঠিন আমাদের কাছে। কোনও ম্যাচকে আলাদা করার নেই। আশা করছি, পরের ম্যাচ থেকে ঘুরে দাঁড়াবে দল। আগের দুটো ম্যাচে আমরা খারাপ ফুটবল খেলিনি, কিন্তু কোনও কারণে জিততে পারিনি। পরের ম্যাচে দল ভুলত্রুিট শুধরে নিয়ে জয়ের জন্য ঝাঁপাবে।’
(সংগৃহীত)