আসামের এনআরসি ইস্যুতে বাঙালিদের পাশে দাঁড়ানোর পাশাপাশি মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের জন্য পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপানিদেবীর জন্ম শতবর্ষ উদযাপনকে সামনে রেখে এবং সরকারি অনুষ্ঠানে আগামী ১৫ নভেম্বর গাইঘাটার ঠাকুরনগরে আসছেন স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী। বিরোধীদের জবাব দিতে তাঁর অনুষ্ঠানে ৩ লক্ষেরও বেশি মানুষ জমায়েতের টার্গেট নিয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলা তৃণমূল। এখন জোরকদমে চলছে তার প্রস্তুতি। প্রশাসনিক ব্যস্ততাও তুঙ্গে। জেলাজুড়ে সাজ সাজ রব।
আসামে রাষ্ট্রীয় নাগরিক পঞ্জির খসড়া তালিকা থেকে ৪০ লক্ষ বাসিন্দাকে বাদ দেওয়ার ইস্যুতে প্রথম থেকেই মাঠে নেমেছে তৃণমূল। এই ৪০ লক্ষের মধ্যে ছ’লক্ষ মানুষ মতুয়া ধর্মের। তাই মতুয়ারা যেমন আন্দোলনে নেমেছেন, তেমনই তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল। সম্প্রতি, মতুয়া ও নমঃশূদ্রদের জন্য পৃথক উন্নয়ন পর্ষদ গঠন করে মুখ্যমন্ত্রী মাস্টার স্ট্রোক দিয়েছেন বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহল।
সারা ভারত মতুয়া মহাসঙ্ঘের বড়মা বীণাপাণিদেবীর জন্মশতবর্ষ উদযাপন কমিটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানকে সফল করতে ইতিমধ্যেই গোবরডাঙা পুরসভায় পুলিস, প্রশাসন, জনপ্রতিনিধি, ডেকোরেটার্স সহ সকলকে নিয়ে একটি বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেখানেই খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘তিন লক্ষের বেশি লোক জমায়েত হবে। উত্তর ২৪ পরগনা, হুগলি, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া সহ আশপাশ এলাকা থেকে মতুয়া ধর্মের মানুষেরা যাতে মুখ্যমন্ত্রীর অনুষ্ঠানে হাজির হতে পারেন, তার জন্য আমরা বাস ও ম্যাটাডোরের ব্যবস্থা করে দেব। এমনকী, উত্তরবঙ্গ সহ বাইরে থেকে যে সকল মতুয়া ধর্মের মানুষ আগেরদিন ঠাকুরনগরে পৌঁছে যাবেন, তাঁদের জন্য থাকা এবং খাওয়া-দাওয়ারও ব্যবস্থা করা হবে। আমাদের জেলার প্রতিটি বিধানসভায় তিনটি করে তোরণ তৈরি করা হবে। দু’টি তোরণ মতুয়াদের জন্য এবং একটি তোরণ তৃণমূল কংগ্রেসের জন্য। প্রতিটিতে বড়মা এবং মুখ্যমন্ত্রীর ছবি থাকবে’।