হতাশ সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক সূর্যকান্ত মিশ্র। সংগঠন মিইয়ে পড়েছে। কর্মী সংকটে ধুঁকছে দল। সব মিলিয়ে ঢাল-তলোয়ার হীন সেনাপতির দশা সূর্যর। অবস্থা এমন জায়গায় পৌচেছে যে টুইট করে দলে সর্বক্ষণের কর্মী চাইতে হচ্ছে দেশের তৃতীয় বৃহত্তম দলকে।
সূর্যকান্ত মিশ্র টুইটে লিখেছেন, ‘ইস্যু অনেক। চাই তাৎক্ষণিক প্রতিবাদ। কিন্তু দায়সারা নয়। সামনে নিরন্তর সংগ্রাম ও সংঘাতের দিন।পরিধি ও প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াতে হবে। বিকল্প তুলে ধরতে হবে। মিথ্যা ভয় দূর করতে হবে। সংগঠনে অনেক আত্মোতসর্গকারী সর্বক্ষণের কর্মী চাই’। রাজ্য সম্পাদকের এই টুইটের পরেই রাজ্য রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে নানা জল্পনা। রাজনৈতিক মহলের মতে, সূর্যকান্ত টুইটে যে বার্তা দিয়েছেন, সিপিএমের দলীয় পরিভাষায়, সেটা পুরোপুরি সাংগঠনিক বিষয়। যা প্রকাশ্যে নয়, দলের অভ্যন্তরে আলোচনা করাই রীতি। কিন্তু খোদ রাজ্য সম্পাদক এই নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুখ খোলায়, তাঁর হতাশা প্রকাশ পাচ্ছে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
সূর্যের এই টুইট তুলে দিয়েছে নানা প্রশ্নও। ‘মিথ্যা ভয়’ বলতে কী বোঝাতে চাইছেন সূর্য? দলের যে ভয়, সেটা কী মিথ্যা? হাতের সামনে একের পর এক ইস্যু পেয়েও ঝাপাতে ভুলে গেছে সিপিএম। আসামে ৫ বাঙালি খুনের খবর প্রতিবাদে বিক্ষোভে ঝাঁপিয়ে পড়ে তৃণমূল। মমতার নির্দেশে প্রতিবাদ মিছিল থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রোফাইল ছবি কালো করে দেওয়া – সবেতেই এগিয়ে ছিল তৃণমূল। আর এই ঘটনার নড়েচড়ে বসতেই সিপিএমের ২৪ ঘণ্টা কেটে গেছে। আমজনতার মনে দাগ কাটার মতো আন্দোলনও করতে পারছে না তারা। তাই স্বাভাবিকভাবেই রাজ্য সম্পাদকের হতাশা আসাই স্বাভাবিক।
এসবের কারণে বিরোধিতার পরিসরটাই চলে গিয়েছে অন্যের হাতে। কোনও ঘটনা ঘটলে সিপিএমের কয়েকজনকে জড়ো করে লালঝাণ্ডার ছবি-সহ সোশ্যাল মিডিয়ায় লটকে দিয়ে দায় সারছেন। এইসব দেখেই রাজ্য সম্পাদক প্রকাশ্যে এমন বার্তা দিয়েছেন বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। রাজ্য সম্পাদকমণ্ডলীর একাংশও মনে করছে, দলের যা অবস্থা তাতে সম্পাদকের হতাশা আসা স্বাভাবিক। তবে সেটা টুইটে প্রকাশ করে ফেলে ঠিক করেননি সম্পাদক।