‘অবনী’ বাড়ি নেই। সে আর বাড়ি ফিরবেও না। গত শুক্রবার রাতেই অবনীকে গুলি করে মারা হয় মহারাষ্ট্রের রালেগাঁও জেলার যবতমলে।
হঠাৎ করেই মানুষখেকো হয়ে উঠেছিল অবনী। গত দু’বছরের মধ্যে তার পেটে যায় মহারাষ্ট্রের পান্ধারকাওড়া জঙ্গল ও তার আশপাশের এলাকার কম করে ১৩ জন মানুষ। ফলে, গোটা এলাকার ত্রাস হয়ে উঠেছিল সে।
অবনীকে যবতমলের গভীর জঙ্গলে প্রথম দেখা গিয়েছিল আজ থেকে ৬ বছর আগে, ২০১২ সালে। তাকে ধরার জন্য গত তিন মাসে দেড়শো জন বনকর্মী ও বাঘশিকারীর পাশাপাশি নামানো হয়েছিল কয়েকটি হাতিও।
গত সেপ্টেম্বরেই সুপ্রিম কোর্ট একটি রায়ে অবনীকে অবিলম্বে মেরে ফেলার নির্দেশ দেয়। কিন্তু গত তিন মাস ধরে তন্নতন্ন তল্লাশি চালিয়েও রালেগাঁওয়ের গভীর জঙ্গলে বাঘিনী অবনীর হদিশ পাচ্ছিলেন না মহারাষ্ট্রের বন দফতরের পদস্থ কর্তা, কর্মীরা।
রালেগাঁওয়ের এক পুলিশ কর্তা জানান, ‘নামজাদা বাঘশিকারী নবাব শফাত আলির ছেলে আসগর আলির গুলিতেই শুক্রবার রাতে রালেগাঁওয়ের বোরাতি জঙ্গলের ১৪৯ নম্বর কম্পার্টমেন্টে মারা গিয়েছে অবনী। দশ মাসের দু’টি বাচ্চা আছে অবনীর।’
মহারাষ্ট্রের বন দফতর সূত্রের খবর, অবনীকে ফাঁদে ফেলার জন্য অন্য বাঘিনীদের মূত্র ছড়ানো হয়েছিল। ছড়ানো হয়েছিল বিশেষ একটি মার্কিন পারফিউমও। তার টানেই শিকারীর ধারেকাছে এসে পড়েছিল অবনী। এরপরেই আসগর আলির গুলিতে ভবলীলা সাঙ্গ হয় তার।