তিনসুকিয়ায় ৫ বাঙালিকে হত্যার জেরে আসামে বসবাসকারী বাঙালিদের মধ্যে তীব্র আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে। নিজেদের এখন আগ্নেয়গিরির ওপর বসে থাকতে দেখছেন তাঁরা। আসামের বাঙালিরা চলে আসতে চাইছেন মমতার বাংলায়। অনেক বাঙালি আসামে নিজেদের ঘর বাড়ি ছেড়ে চলে আসছেন কোচবিহার, আলিপুরদুয়ারের আত্মীয়দের কাছে। অনুমান, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে সেখান থেকে আরও বাসিন্দা এই রাজ্যে আশ্রয় নিতে পারেন।
নিরাপত্তার কারণে আলিপুরদুয়ার ও কোচবিহার দুই জেলার আসাম-বাংলা আন্তঃরাজ্য সীমান্তে পুলিশি তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। শরণার্থীদের মধ্যে মিশে আসামের জঙ্গীদের এরাজ্যে ঢুকে পড়ার আশঙ্কাও রয়েছে। সীমান্তে পুলিসের ওয়াচটাওয়ার থেকেও নজরদারি চলছে। আলিপুরদুয়ারের পুলিস সুপার সুনীল কুমার যাদব বলেন, অসম সীমান্তে পুলিসের নাকা চেকিং, তল্লাশি বাড়ানো হয়েছে। বাড়তি পুলিস ফোর্সও মোতায়েন করা হয়েছে। কোচবিহারের পুলিস সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, অসমের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে আন্তঃরাজ্য সীমান্তে নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। পরিস্থিতির দিকে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
আসাম-বাংলা সীমান্তের সর্বত্রই পরিস্থিতি থমথমে। আসমের তিনসুকিয়ার খেরনিবাড়ি গ্রামে পাঁচ বাঙালি নিধনের ঘটনায় জঙ্গি সংগঠন উলফা (আই)-এর তরফে দায় অস্বীকারের পর, ঘটনার নেপথ্যে কারা, তা নিয়ে জোর জল্পনা শুরু হয়েছে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডের তীব্র নিন্দা করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ট্যুইটবার্তায় তাঁর প্রশ্ন ছিল, এ ঘটনা কি সাম্প্রতিক নাগরিকপঞ্জির নতুন ফলাফল? ঘটনার পর থেকেই ঘনিষ্ঠ মহলে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর একটাই প্রশ্ন ছিল, গণহত্যার পিছনে সত্যিই কি উলফা, নাকি রয়েছে অন্য কেউ। সত্য উদ্ঘাটনে প্রকৃত তদন্ত প্রয়োজন।