‘গোটা ভারত জুড়ে অশুভ সঙ্কেত চলছে। আতঙ্ক গ্রাস করেছে। ভয়ে দিন কাটছে আসামের বাঙালিদের। আনন্দের মধ্যে দুঃখ ঢেলে দিয়েছে বাঙালিদের খুনের ঘটনা। এই উৎসবের মধ্যে দুঃখ আমার মনকে স্পর্শ করেছে’। অসমের তিনসুকিয়ার গণহত্যার ঘটনায় একথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘গোটা দেশে এক অদ্ভুত পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। গুজরাত থেকে বিহারিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। অসমে বাঙালিকে নৃশংসভাবে খুন করা হয়েছে। সকলের মনে একটা ভয়ের পরিবেশ তৈরি হয়েছে। এখন ঘরে ঘরে ভয়। আগেও ইনকাম ট্যাক্স, সিবিআই, এক্সাইজ, এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট প্রভৃতি এজেন্সি ছিল। কিন্তু এইভাবে কখনও এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানো হয়নি। রাজনৈতিক দলের হয়ে এজেন্সি কাজ করছে। এজেন্সি সরাসরি বলছে, একে গ্রেপ্তার করতে হবে। এইসব কখনও দেখিনি’।
উত্তরবঙ্গ সফর সেরে বাগডোগরা থেকে কলকাতায় নেমে মমতা এদিন সোজা আসেন গিরীশ পার্কে ফাইভ স্টার স্পোর্টিং ক্লাবের কালীপুজোর মণ্ডপে। এই পুজোটি বিধায়ক স্মিতা বক্সি-সঞ্জয় বক্সির পুজো বলে পরিচিত। মুখ্যমন্ত্রী আসার আগে সেখানে স্থানীয় সংসদ সদস্য সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, ডাঃ শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, তাপস রায়, মালা রায় প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। কলকাতা পুরসভার কাউন্সিলাররাও উপস্থিত ছিলেন। কালীপ্রতিমার আবরণ উন্মোচন করে এবারের পুজো পরিক্রমা শুরু করলেন মুখ্যমন্ত্রী।
পুজো উদ্বোধনের পর মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘এই উৎসবের মধ্যেও আমার মন ভালো নেই। অসমের তিনসুকিয়ার যা ঘটে গেল, তা মেনে নিতে পারছি না। গুজরাট থেকে বিহারিদের খেদিয়ে দেওয়া হচ্ছে। অসম থেকে বাঙালিদের তাড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। এসব কী হচ্ছে?’ তাঁর কথায়, ‘মা হৃদয়কে আলোকিত করো। যারা অন্ধকারে থাকে, তারা চক্রান্ত, অপপ্রচার ও কুৎসা ছাড়া কিছু দেখতে পায় না। মানুষ সন্ত্রাসমুক্ত ভারত দেখতে চায়। মানুষ এখানে মুক্তির নিঃশ্বাস ফেলবে’।