বিজেপিকে হঠাতে কংগ্রেসকে খোলাখুলি সমর্থন জানিয়েছে আলিমুদ্দিন। দেশের স্বার্থে কংগ্রেসও বামেদের এই সমর্থনকে স্বাগত জানিয়েছে। কেন্দ্রে বিজেপির বিরুদ্ধে একের পর এক তোপ দাগছেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী। অথচ সব বিরোধিতা ভুলে শুধু তৃণমূলকে হারাতে বাংলায় একমঞ্চে দেখা গেল বাম-কংগ্রেস-বিজেপিকে। যা নিয়ে শোরগোল পড়ে গিয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে।
ন্যায্য বেতনের দাবিতে শহিদ মিনারের সামনে মঞ্চ বেঁধে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেছে প্রাথমিক শিক্ষকদের একটি সংগঠন। সেই মঞ্চেই গা ঘেঁষাঘেঁষি করে বসে থাকতে দেখা গেল সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী, কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নান, বিজেপির দিলীপ ঘোষ, ফরওয়ার্ড ব্লকের নরেন চট্টোপাধ্যায়কে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, বাংলায় তৃণমূলকে হারাতে একজোট হয়েছে বিরোধীরা। বাম এবং কংগ্রেস মুখে যতই সাম্প্রদায়িকতার বিরোধিতা করুক আদতে তারা ক্ষমতা পিয়াসী। এই ঘটনাই তার প্রমাণ। সঙ্গে এটাও প্রমাণ হয়ে গেল গণতান্ত্রিক এবং আসাম্প্রদায়িক সরকারের একমাত্র মুখ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
গোটা ঘটনাকে তীব্র কটাক্ষ করে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ঝুলি থেকে বেড়াল বেরিয়ে পড়েছে। এরা যে সব একসঙ্গে তা আমরা আগেই বলেছি। সেটাই আবার প্রমাণ হল। সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের একমাত্র মুখ যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিরোধীদের একজোট হয়ে রাজ্য সরকার বিরোধী আন্দোলনেই সেটা স্পষ্ট হল’।
পার্থর কথায়, শিক্ষকদের লেলিয়ে দেওয়ার খেলায় নেমেছে বিরোধীরা। বাতিল কিছু রাজনৈতিক নেতাই মঞ্চে জড়ো হয়েছেন। এরা নিজেদের সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলন না করে অন্যের ব্যানারে আন্দোলন করছেন’। শিক্ষকদের এই আন্দোলন সম্পর্কে পার্থ বলেন, ‘সরকার এঁদের বিষয়টি নিয়ে সহানুভূতিশীল। তবে এখনই সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব নয়। রাজ্যের রাজস্ব আদায় থেকে টাকা দেয় সরকার। সরকারের আর্থিক অবস্থা ভালো হলেই বিষয়টি দেখা হবে’।