ছুটি বলতে পুজোর চারদিন। ওই কটাদিনই যা বিশ্রাম পেয়েছে হাত। তারপর লক্ষ্মীপুজোয় ছিল সামান্য ব্যস্ততা। তবে আক্ষরিক অর্থে দুর্গাপুজোর পর কালীপুজোতেই ফের ‘ব্যস্ত’ হয়ে ওঠে গোটা পটুয়াপাড়া।
ইতিমধ্যেই কালীঠাকুর তৈরির ব্যস্ততা শুরু হয়ে গিয়েছে কুমোরটুলিতে। মৃৎশিল্পীরা আপাতত সেই প্রতিমা তৈরিতেই ব্যস্ত রয়েছেন।
তবে এসবের মধ্যেই ফের চোখ রাঙাতে শুরু করেছে অকাল বর্ষণের ভ্রুকুটি। নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ায় রবিবার সকাল থেকে ফের আকাশের মুখভার। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়ে রেখেছে আবহাওয়া দফতর।
বরাবরই দুর্গাপুজোর আগে বৃষ্টির জন্য শিল্পীদের কাজ ব্যাহত হয়। কিন্তু এবার দুর্গাপুজোয় রক্ষা পেলেও কালীপুজোর আগে কপালে ভাঁজ পড়েছে তাঁদের। পুজোর ঠিক ৮-৯ দিন আগে কাজের ব্যস্ততা যখন তুঙ্গে, তখন বৃষ্টির পূর্বাভাসে বিরক্ত এবং চিন্তিত শিল্পীরা। আসলে মাটির প্রতিমায় রঙের প্রলেপ পড়লে, তাকে রোদ খাওয়ানো জরুরি।
সাত ফুট উচ্চতা থেকে দেড়-দু’ফুট উচ্চতার কালীপ্রতিমা গড়ার কাজ চলছে জোরকদমে। দুর্গাপ্রতিমা স্টুডিও থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পর সেই ফাঁকা জায়গাতে পুজোর আগেই গোডাউন থেকে এনে রাখা হয়েছে অসমাপ্ত কালীপ্রতিমা। এবার তাতে মাটি, সাদা রং এবং অন্যান্য রঙের প্রলেপ পড়বে।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহের শেষেই কালীপুজো। তার দু’তিনদিন আগে থেকেই বড় সাইজের প্রতিমা যেতে শুরু করবে মণ্ডপে। ফলে আজ-কালের মধ্যেই শুরু হবে রঙের কাজ।