মাত্র এক সপ্তাহের ব্যবধান। তার মধ্যেই ভোটার তালিকায় ‘ডি’ তকমা লাগানোয় আসামে আত্মঘাতী হলেন আরও এক বাঙালি। জানা গেছে, এই ঘটনার পরেই জেলা প্রশাসনকে ‘ডি’ ভোটারের নোটিস পাঠানো বন্ধ রাখতে নির্দেশ দিয়েছে আসাম সরকার। কিন্তু এরপরেও আতঙ্ক যাচ্ছে না আসামবাসী বাঙালিদের।
‘ডি’ মানে ডাউটফুল। সন্দেহজনক। শেষ পাওয়া পরিসংখ্যান অনুয়ায়ী আসামে ১ লাখ ২৫ হাজার ৩৩৩ ‘ডি’ ভোটার। প্রায় সকলেই বাঙালি। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, দিনে দিনে বাঙালিদের বধ্যভূমিতে পরিণত হচ্ছে আসাম। আসামের কংগ্রেস বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ বিজেপি সরকারের সমালোচনা করে বলেন, ‘আসাম সরকার বাঙালি বিদ্বেষী। রাজ্যে মৃত্যু মিছিল শুরু হয়েছে।
‘ডি’ ভোটারের নোটিশ পেয়ে হতাশায় ভুগছিলেন উদালগুড়ি জেলার ঘাঘরা উলুবাড়ির দিলীপ দেবনাথ (৪৯)। রবিবার ভোরে গ্রামবাসীরা তাঁর ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান। ক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রশাসনের গাফিলতিতেই বৈধ নাগরিক হয়েও দিলীপবাবুকে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নিতে হল।
এক সপ্তাহ আগে এমনই ঘটেছিল দরং জেলার খেরুপেটিয়ায়। ৩৪ বছর সরকারি চাকরি করার পরেও এনআরসি তালিকায় নাম না ওঠায় আত্মঘাতী হন নীরদবরণ দাস। সেই ঘটনার প্রতিবাদে বনধও পালিত হয় আসামে। তার এক সপ্তাহ পরেই আবার উদালগুড়িতে ঘটল একই ঘটনা। এনআরসি তালিকায় নাম না ওঠায় জেলা প্রশাসন ভোটার তালিকায় নামের পাশে ‘ডি’ লাগিয়ে দেয়। আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন নীরদবরণ।