রাজ্য থেকে বিদায় নিয়েছে বর্ষা। তবে রাতের দিকে এখন শীত শীত ভাব থাকলেও শীত আসতে এখনও বেশ কিছুদিন দেরী আছে। এমনটাই জানালো, আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
সদ্য শেষ হয়ে দুর্গাপুজো আর কোজাগরী লক্ষ্মী পুজো। সামনেই দীপাবলি। অন্যান্যবার এই সময় থেকেই শীতের আভাস পাওয়া যায় রাজ্যে। কিন্তু এবার এখনও শীত আসার নামগন্ধই নেই।
কলকাতা এবং তার পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে শুক্রবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা খানিকটা কমলেও আশার আলো দেখছেনা ‘হাওয়া মোরগ’। আগামী ৪৮ ঘন্টা এই দিনে গরম আর রাতে ঠান্ডা ভাব থাকলেও সোমবার থেকে বদলে যেতে পারে পরিস্থিতি। রাজ্যে আবারও বৃষ্টির আশঙ্কা রয়েছে বলেই জানিয়েছে আবহাওয়া দফতর।
শুক্রবার আলিপুরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ২০.৩ ডিগ্রি। বৃহস্পতিবারের থেকে তাপমাত্রা ০.৬ ডিগ্রি কম। কলকাতার লাগোয়া ব্যারাকপুরে তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমে হয়েছে ১৭.৯ ডিগ্রি। কুড়ির নীচে নেমেছে উপকূলের দিঘা, কাঁথি, ক্যানিংয়ের তাপমাত্রা। কিন্তু আসন্ন আবহাওয়ার পরিবর্তনটাই এখন সব থেকে বেশি চিন্তার।
এরই মধ্যে আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ২৮–২৯ অক্টোবর নাগাদ উত্তর–পশ্চিম একটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হতে পারে বঙ্গোপসাগরে। নিম্নচাপের প্রভাবে সোমবার নাগাদ দক্ষিণবঙ্গের বিভিন্ন অঞ্চলে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিও হতে পারে। তবে প্রভাব যে আবহাওয়ার ওপর পড়বেই এখনই সেটা বলা যাচ্ছে না।
কিন্ত যদি বৃষ্টি হয়, তার প্রভাবে সোমবার–মঙ্গলবার সারাদিনই ঠান্ডা হাওয়া বইবে কলকাতা এবং দক্ষিণবঙ্গে। যার ফলে শীতকালের অনুভূতিও চলে আসতে পারে বলেই মনে করছেন আবহাওয়াবিদরা। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ২৭–২৮ ডিগ্রির মধ্যেই ঘোরাফেরা করবে।
তবে এরই মধ্যে রাজ্যে উত্তুরে হাওয়া ঢুকতে শুরু করেছে। কিন্ত সেই হাওয়াতেও খুব একটা শীতল ভাব নেই। আবার পশ্চিমি ঝঞ্ঝারও কোনও সম্ভাবনা নেই। তবে বাতাসের আদ্রতা অত্যন্ত কম। ফলে শুষ্ক আবহাওয়াও তৈরি হয়েছে খানিকটা। তবে খুব ঠান্ডা হাওয়া না থাকায় দিনের বেলা ভালই গরম থাকছে। ফলে শীত নিয়ে এখনও সংশয়ে রাজ্যবাসী। তাই শীতের আমেজ পেতে দিন গুনছে সকলেই।