‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আক্ষরিক অর্থেই একজন আয়রণ লেডি। সারাজীবন ধরে করা সংগ্রাম আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে মমতা প্রকৃত অর্থে সর্বজনগ্রাহ্য জননেত্রী হয়ে উঠেছেন। এই মুহূর্তে দেশের যা পরিস্থিতি তাতে দেশকে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য সবচেয়ে যোগ্য ব্যক্তি মমতাই’। বিজেপি শাসিত রাজ্য গুয়াহাটিতে দাঁড়িয়ে এভাবেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন বিজেপি সাংসদ শত্রুঘ্ন সিনহা।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক উপলক্ষ্যে গুয়াহাটি আসেন শত্রুঘ্ন সিনহা। সেই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ও। বৈঠক শেষে সাংবাদিক সম্মেলনে শত্রুঘ্ন বলেন, ‘ব্যক্তিগত ভাবে আমি মমতাজির গুণমুগ্ধ ভক্ত। মমতার যে চাহিদা, জনআবেগ সামলানোর যে ক্ষমতা তা অনেক উচু মানের। তাঁর সঙ্গে কারও পাল্লা দেওয়া মুশকিলের। উনি একটা সুংপিং এফেক্ট আনবেন। এই সমস্ত গুনের জন্যই আই অ্যাম ভেরি ফল্ড অফ মমতা’।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে অসাম্প্রদায়িক এবং উন্নয়নমুখী সরকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুধুই ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা নয়, বরং নির্বাচনের মুখে বিজেপি বিরোধী দলগুলির সঙ্গে শত্রুঘ্নের আলোচনা এবং নিয়মিত যোগাযোগ বিজেপি নেতৃত্বের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে। এর আগে সিবিআইয়ের টালমাটাল পরিস্থিতি নিয়ে টুইট করে শত্রুঘ্ন লিখেছিলেন, ‘কালাপানিতে বদলি আসলে শাস্তি দেওয়াই’। মোদীর নিজের এলাকা গুজরাতেও হার্দিক প্যাটেলের ডাকা বিজেপি বিরোধী সমাবেশে যোগ দেবেন শত্রুঘ্ন। রাফাল নিয়েও বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়েছেন বিহারীবাবু। দিল্লীতে গিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন তিনি। এবারে সরাসরি বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর পাশে দাঁড়ালেন। সব মিলিয়ে পাটনা সাহিবের সাংসদ মোদী-শাহ চিন্তা বাড়িয়েই চলেছেন।