বাঙালির সেরা পার্বন দুর্গাপুজো। বিশ্বের দরবারে বাংলা ব্র্যাণ্ডিংয়ের লক্ষ্যে দুর্গা কার্নিভালের মতো এই মেগা ইভেন্টের শুরু হয়েছিল। ফল পাওয়া গেছে হাতেনাতে। সম্প্রতি বেসরকারি ট্যুর অপারেটর, হোটেল মালিক এবং পর্যটনের সঙ্গে যুক্ত সংস্থাগুলির সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল পর্যটন দপ্তর। তাঁরা জানিয়েছেন, চলতি বছর দুর্গা কার্নিভাল উপলক্ষে কলকাতায় হোটেল বুকিং ৬ থেকে ১০ শতাংশ বেড়েছে। বিদেশী পর্যটকদের সংখ্যাও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
বিশ্বের পর্যটন মানচিত্রে দুর্গাপুজোকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলের সঙ্গেও রাজ্য সরকারের চুক্তি হয়েছে। চলতি মাসের ২০ এবং ২১ অক্টোবর ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক চ্যানেলে দেখানো হবে বাংলার দুর্গোৎসব। চলতি বছর সমস্ত প্রথম সারির হোটেলে পর্যটন দপ্তরের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাতে স্মরণিকার ব্যবস্থা করেছে। গত বছরের নামী-দামি পুজোর মাতৃপ্রতিমার ছবি দিয়ে ১০টা পোস্টকার্ড নিয়ে একটি অ্যালবাম। এই অ্যালবামই দেওয়া হচ্ছে স্মরণিকা হিসাবে।
পর্যটন দফতরের তরফে এবারই প্রথম ‘এগজিকিউটিভ ক্লাস’-এর জন্য ঠাকুর দেখা, অভিজাত রেস্তোরাঁয় খাওয়া, বনেদি বাড়ির পুজো উপভোগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রথমে দুটো থেকে তিনটি দল তৈরির কথা ভাবা হয়েছিল। কিন্তু অত্যধিক চাহিদা থাকায় পর্যটকদের আপ্যায়নের জন্য পাঁচটি দল তৈরি করতে হয়েছে। পরের বছর এই দলের সংখ্যা আরও বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন পর্যটন দপ্তরের সচিব অত্রি ভট্টাচার্য। তিনি বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুপ্রেরণায় দুর্গাপুজোকে পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় করে তোলার চেষ্টা করা হচ্ছিল। গত বছরের পুজো কার্নিভাল দেখার জন্য কলকাতার বিভিন্ন কনস্যুলেটের কাছে আবেদন জানিয়ে বলা হয়েছিল, তারা যেন তাদের দেশের পর্যটকদের এই কার্নিভাল দেখার জন্য উৎসাহিত করেন। এবার তাঁরা নিজেরাই পর্যটন দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন’।