পুজোর কাউন্টডাউন শুরু হয়ে গেছে। অথচ আকাশের মুখ ভার। প্রজাপতির ডানায় মন খারাপের সুর। পুজোর চারদিন কী হবে? আকাশ ভাসবে নাকি ঝলমলে রোদের দেখা মিলবে। গোটা বাংলার নজর এখন আকাশের দিকে।
তৃতীয়ার সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ, বিচ্ছিন্ন বৃষ্টি চলেছে দিনভর। বৃষ্টি একটু ধরতেই বেশ কিছু পুজোকমিটি প্লাস্টিক ঢেকে প্রতিমা এনেছে মণ্ডপে। বাকি মণ্ডপে প্রতিমা চলে আসবে আজ শনিবার চতুর্থীর দিন। কিন্তু আবহাওয়ার উন্নতি হয়নি একটুও। কলকাতার যে সমস্ত মণ্ডপে উদ্বোধন হয়ে গেছে, সেখানে অবশ্য বৃষ্টি উপেক্ষা করে ছাতা মাথায় লাইনে ভিড় জমিয়েছেন দর্শনার্থীরা। তবে বৃষ্টির জন্য সুরুচি সঙ্ঘের পুজোয় দর্শনার্থীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, আজ শনিবার থেকে আবহাওয়ার উন্নতি হতে পারে। সঙ্গে পুলিশ ও প্রশাসনকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
তিতলির পরিস্থিতি নিয়ে কলকাতার মহানাগরিক শোভন চট্টোপাধ্যায়, মেয়র পারিষদ নিকাশি ও কঠিন বর্জ্য নিকাশি বিভাগের আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করেন। মেয়র জানিয়েছেন, দুই দপ্তরের সমস্ত ইঞ্জিনিয়ার ও আধিকারিকদের কাজের সময়ের পরিবর্তন করা হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে ছুটি। ২৪ ঘণ্টাই কন্ট্রোল রুম খোলা থাকবে। প্রতিটি পাম্পিং স্টেশনকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে।
তবে স্বস্তি যোগাচ্ছে আবহাওয়া দপ্তরের ভবিষ্যৎবাণী। জানা গেছে, তিতলি ক্রমশ দুর্বল হচ্ছে। আজ, শনিবার সেটা গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। তার জেরে কলকাতায় আজ, শনিবারও হালকা বৃষ্টি হবে। বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে দুই ২৪ পরগনা ও দুই মেদিনীপুরেও। আলিপুর আবহাওয়া দপ্তরের অধিকর্তা জিকে দাস বলেন, ‘তিতলি ধীরে ধীরে দুর্বল হয়ে উত্তর উড়িষ্যার দিক থেকে রাজ্যের দিকে এগিয়ে আসছে। তবে রাজ্যে না ঢুকে বাংলাদেশের দিকেও চলে যেতে পারে। কিন্তু তিতলি যেহেতু এখনও রয়েছে তাই পর্যটক দের সমুদ্রের কাছাকাছি যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সতর্কবার্তা পাঠানো হয়েছে রাজ্যের মৎস্যজীবীদেরও। আশা করা হচ্ছে, আগামী কাল রবিবার অর্থাৎ পঞ্চমীর দিন থেকে রাজ্যের আকাশ পরিষ্কার হয়ে যাবে’।