জার্সির ৫টি তারাকে ৬ করা হয়নি এবারও। এ বছর রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনাল থেকেই বিদায় নিয়েছিল পাঁচবারের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিল। কাজান এরিনায় আয়োজিত কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২-১ গোলে হারে তিতের ব্রাজিল।
তবে এই ব্যর্থতা সত্ত্বেও সিবিএফ ভরসা রেখেছে তাদের কোচের উপর। নতুন চুক্তি অনুযায়ী, কাতার বিশ্বকাপ পর্যন্ত জাতীয় দলের দায়িত্বে থাকছেন তিতেই। এখন থেকে বিদায়ের পর আগামী চার বছরের জন্য নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছকে ফেলেছেন ব্রাজিল কোচ। আগামী বছর জুন-জুলাইয়ে ঘরের মাঠে কোপা আমেরিকা জেতাই এখন তাঁর প্রথম লক্ষ্য।
আগামী ১২ অক্টোবর রিয়াধে সৌদ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে সৌদি আরবের বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচ খেলবে ব্রাজিল। ১৬ অক্টোবর জেড্ডার কিং আবদুল্লা স্পোর্টস সিটিতে তিতে-ব্রিগেড মুখোমুখি হবে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্তিনার।
এই দু’টি ম্যাচ প্রসঙ্গে ব্রাজিলের কোচ বলেছেন, ‘বিশ্বকাপের শেষ আট থেকে বিদায় নেওয়া সত্ত্বেও সিবিএফ কর্তারা আমার উপর আস্থা রেখেছেন। এবার তাঁর মর্যাদা দেওয়া কর্তব্য। বিভিন্ন দেশের লিগে ব্রাজিলের ফুটবলাররা যথেষ্ট দক্ষতার সঙ্গেই খেলছে। প্রয়োজন শুধু ওদের মধ্যে ঈর্ষণীয় বোঝাপড়া গড়ে তোলা। বিশ্বকাপে বেলজিয়ামের কাছে হারলেও আমরা খারাপ খেলিনি। তাই রাশিয়া থেকে প্রাপ্ত আত্মবিশ্বাস নেইমারদের অবশ্যই সমৃদ্ধ করেছে। প্রত্যেকেই ভুলত্রুটি সম্পর্কে সচেতন এবং তা শুধরে নিতে সচেষ্ট। আগামী দু’টি ম্যাচে কে কতটা নিখুঁত হতে পারল তারই পরীক্ষা। ঘরের মাঠে সৌদি আরব কঠিন প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছুঁড়ে দেওয়ার জন্য নিশ্চয়ই তৈরি থাকবে। আর পরের ম্যাচ তো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। ব্রাজিল-আর্জেন্তিনা খেলা হলে এখনও গোটা বিশ্বে তা নিয়ে আলোচনা হয়। তাই আমরা যথেষ্ট সতর্ক। যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি ব্রাজিল।’
বিশ্বকাপে চূড়ান্ত হতাশ করা সত্ত্বেও ম্যাঞ্চেস্টার সিটির স্ট্রাইকার রবার্তো ফারমিনোর পাশেই দাঁড়াচ্ছেন কোচ তিতে। গোটা প্রতিযোগিতায় একটিও গোল পাননি হেসাস। তা সত্ত্বেও প্রথম একাদশে সুযোগ দেওয়া হয়নি রবার্তো ফারমিনোকে।
তিতের বক্তব্য, ‘রবার্তো ফারমিনোর গতিকে আমি দ্বিতীয়ার্ধে ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম। কারণ, ওই সময়ে বিপক্ষ ডিফেন্ডাররা কিছুটা হলেও ক্লান্ত হয়ে পড়ে। এই স্ট্র্যাটেজিতে কোনও ভুল ছিল না। তাছাড়া গ্যাব্রিয়েল হেসাসকে কাঠগড়ায় তোলা অর্থহীন। ওর চেষ্টায় কোনও খামতি নেই। নেইমার এবং ফেলিপে কুটিনহোর সঙ্গে বোঝাপড়াও চমৎকার। তাই হেসাসকেই প্রথম একাদশে রেখেছিলাম। আমি মনে করি, সাফল্য কিংবা ব্যর্থতা দল হিসেবেই মেনে নিতে হয়। রাশিয়া বিশ্বকাপের কোয়ার্টার-ফাইনালে আমরা পৌঁছেছিলাম টিম গেম খেলেই। আর বেলজিয়ামের কাছে হেরেছি দলগত সংহতিতে ফাঁক থাকার কারণেই।’