কোনও একজন বলেছিলেন, বৌ হল ঘর। আর বান্ধবী হল বারান্দা। তাহলে কি ঘরের মানুষটি বারান্দায় আসেন না? আসে আসে, আমরা ‘জানতি পারি না’। বারান্দা, হলঘরে তাঁদের নিত্যি আসা যাওয়া। আদালত কী বলল, তাতে বয়েই গেল।
সব নারী-পুরুষের মনেই পরকীয়ার ফল্গু নদী তিরতির করে বয়। কেউ শুধুই সেই নদীর নুড়ি, পাথর সরায়। কেউ কেউ অবগাহন করার সুযোগ পায়। বাঁশি ঠিক খুঁজে নেয় বসন্ত বাতাস। মধুর খোঁজ ঠিক চলে আসে মৌমাছির কাছে। চিন্তামনির কাছে যোগান থাকে চিনির। আইনের ধার কে কবে ধারে?
আইন থাকুক আর নাই থাকুক। পরকীয়া ছিল, আছে, থাকবে। কদমবনে বাঁশি বাজলে সখা-সখীর মন উড়ুউড়ু হবে। হবেই। কোনও আইনের হাত এত লম্বা নয় যে, সেই মনে আধ্যাত্মিকতার লাগাম পড়াবে। দখিনা বাতাস বইলে কিংবা বেমক্কা কুহুতান শুনলে হৃদিথরথর কাঁপবে। কাঁপবেই। পরকীয়া না থাকলে কে লিখত পদাবলী? কে লিখত রাধা-কৃষ্ণের আকুল প্রেম কাহিনী? আদালত বলেছে, পরকীয়া অপরাধ নয়। ভালো আইন। কিন্তু ধুর, ভালো কে চায়? ‘নিষিদ্ধ’ কিছুই যে রইল না আর। এবার তবে ঢ্যাঁড়স সেদ্ধ দিয়ে মদ্যপান চলুক। নিষেধাজ্ঞা জারি হোক তরুণ হৃদয়ে, চিলেকোঠায় চুমু খাওয়া অপরাধ। যা করার সামনে করো, কেউ কিছু বলবে না। অ্যাঁ!
পরকীয়াহীন ভালোমানুষি? চুলোয় যাক।