এবার থেকে বৃষ্টিতে আর ভুগতে হবে না শহরবাসীকে। বর্ষাকালে কোথাও যাওয়ার প্রয়োজন পড়লে, বাড়ি থেকে বেরানোর আগেই দেখে নেওয়া যাবে গন্থব্যস্থলের হাল হকিকত। আবহাওয়ার পূর্বাভাসের মতই এবার শহরে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ, কোথায় কোথায় জল জমে রয়েছে তা আগে থেকে মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে জানতে পারবেন শহরবাসী ও পুরসভা। বৃহস্পতিবার শহরের এক পাঁচতারা হোটেলে একটি অনু্ষ্ঠানে এ খবর ঘোষণা করেন কলকাতার মহানাগরিক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়। এ ছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ড. সুব্রত গুপ্ত, পুর কমিশনার খলিল আহমেদ, জয়েন্ট কমিশনার তাপস চৌধুরি প্রমুখ।
এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাঙ্ক (এডিবি) এবং কলকাতা পুরসভার যৌথ উদ্যোগে এদিন নতুন ফ্লাড ফোরকাস্টিং অ্যান্ড আর্লি ওয়ার্নিং সিস্টেম (এফএফইডব্লুএস) ‘বন্যার পূর্বাভাস এবং আগাম সতর্কতা পদ্ধতির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা করেন শোভনবাবু। তিনি বলেন, ‘বৃষ্টির পরিমাণ কত, কোথায় কত পরিমাণ জল জমে রয়েছে, প্রবল বৃষ্টিতে বন্যা-পরিস্থিতি তৈরি হবে কি না, সবই এবার আগাম জানতে পারা যাবে। অ্যাপের মাধ্যমে এই সতর্কবার্তার ফলে পুরসভা এবং শহরবাসী উভয়ই উপকৃত হবেন। এর জন্য শহরের ৪৫৫টি জায়গায় পাম্পিং স্টেশন ও খালে লাগানো হবে অত্যাধুনিক সেন্সর। চিহ্নিত করা হয়েছে কোন কোন এলাকায় অল্প বৃষ্টিতেই জল জমে যায়। বিশেষ করে ঠনঠনিয়া, আমহার্স্ট স্ট্রিট থেকে দক্ষিণের শীলপাড়া, বেহালার কয়েকটি জায়গা চিহ্নিত করা হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন যে, পুরসভার কন্ট্রোল রুমের সঙ্গে যোগাযোগ থাকবে এই সব সেন্সরের। পুর কন্ট্রোল রুম থেকেই নিয়ন্ত্রণ করা হবে।
ইতিমধ্যেই শহরের ৩৯টি জায়গায় বসানো হয়েছে সেন্সর। একই সঙ্গে নিয়ে আসা হচ্ছে একটি মোবাইল অ্যাপ। যেখান থেকে বাসিন্দারাও সচেতন হতে পারবেন। ‘কে ফ্লাড’ নামের এই অ্যাপটি শীঘ্রই নিজের মোবাইলে ডাউনলোড করতে পারবেন শহরবাসী। অনুষ্ঠানে এডিবি–র এদেশের অধিকর্তা কেনিচি ইয়োকোমা জানান, কলকাতা পুরসভার সঙ্গে অনেকদিন ধরে এডিবি কাজ করছে। দ্রুত উন্নয়নও হচ্ছে। কেরলের মত বড়সড় বিপর্যয় এড়াতেই এই উদ্যোগ, জানাচ্ছে পুরসভা।